ভারতের রাজ্য কমছে, বাড়ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

ভারতে রাজ্যসংখ্যার হিসাব এখন অন্যভাবে করতে হবে। এত দিন ভারতে ২৯টি রাজ্য আর ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাব করা হতো, যা আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় বদলে যাবে। ১২টার পর কমে যাবে একটি রাজ্যের সংখ্যা, বাড়বে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ভারতের রাজ্যসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৮টিতে। আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯টিতে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার প্রায় তিন মাস পর ওই রাজ্য এখন আর রাজ্য থাকছে না। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে এর আলাদা পরিচিতি দাঁড়াচ্ছে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে, দুটি অঞ্চল হিসেবে সেখানে কেন্দ্রের আইন জারি হবে।

গত ৬ আগস্ট ভারতের সংসদে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি জম্মু কাশ্মীরের ভেতরে থাকা লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়।

সেদিন এই জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদের কথা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রূপ দেওয়া হয়েছে। লাদাখও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। অমিত শাহ আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকা লাদাখ এত দিন জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে থাকলেও লাদাখের ভূপ্রকৃতি ও জনসংখ্যার চরিত্র আলাদা। সেখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল লাদাখকে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার।

তবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিন্যাসের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার নির্বাচন হবে যথারীতি। গঠন হবে বিধানসভা। তবে বিধানসভার মেয়াদ হবে ৬ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর। এই বিধানসভার সদস্যসংখ্যা হবে ১০৭ জন। যদিও এর আগে এ সংখ্যা ছিল ১১১। এর মধ্যে ৪ জন ছিলেন লাদাখের। ওই ৪ আসন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিধানসভা গড়া হবে দিল্লি ও পদুচেরির বিধানসভার ধাঁচে। তবে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হলেও সেখানে বিধানসভা থাকবে না, যেমনটা নেই অন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন ও দিউ এবং চণ্ডীগড়ের।