রাত ৮টায় পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গতিবেগ বাড়িয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। আজ শনিবার সন্ধ্যার পর যেকোনো সময় এটি আঘাত হানবে। ছবি: এএফপি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গতিবেগ বাড়িয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। আজ শনিবার সন্ধ্যার পর যেকোনো সময় এটি আঘাত হানবে। ছবি: এএফপি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গতিবেগ বাড়িয়ে এবার ধেয়ে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে। আজ শনিবার রাত আটটার দিকে এটি পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এলাকায় আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। কলকাতা থেকে সাগরদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এখন ওডিশা উপকূল হয়ে ধেয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যখন পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে, তখন গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার।

কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যার পর বুলবুল পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এলাকায় আছড়ে পড়বে। রাত ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলবে বুলবুলের তাণ্ডব।

আলীপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাস আজ বিকেলে বলেছেন, বুলবুল আছড়ে পড়বে কলকাতাসহ রাজ্যের ৭টি জেলায়। এই জেলাগুলো হলো পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রাম। ইতিমধ্যে ওই সব জেলায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতার সব ফেরি সার্ভিস। বুলবুলের প্রভাবে আজ সকাল থেকে কলকাতাসহ ৭টি জেলায় বেড়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বেড়েছে ঝোড়ো হাওয়া। আজ সকালের দিকে বালিগঞ্জে গাছচাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বুলবুলের প্রভাবে বকখালি পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। দীঘায় পর্যটকদের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে ৮৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে।

এদিকে রাজ্য সরকার কলকাতার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে স্থাপন করেছে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। ইতিমধ্যে কলকাতাসহ ৭ জেলার সব বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আবেদন জানিয়েছে ওই ৭টি জেলার কলেজ বন্ধ রাখার। পাশাপাশি ওই জেলাগুলোর সব ইংরেজি মাধ্যম বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।