ভারতের প্রধান বিচারপতির দপ্তর তথ্য অধিকার আইনের আওতায়

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনের আওতায় এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট আজ বুধবার এই রায় দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়, সাংবিধানিক গণতন্ত্রে বিচারকেরা আইনের ঊর্ধ্বে থাকতে পারেন না।

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ পাঁচ বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক আদালতের অংশ ছিলেন। এই বেঞ্চ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল এবং এর কেন্দ্রীয় জন তথ্য কর্মকর্তা দিল্লি হাইকোর্ট এবং কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় দেয়।

আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি জনসাধারণের কর্তৃত্বের অন্তর্ভুক্ত। তথ্য অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার একই মুদ্রার দুই পিঠ।’

সাংবিধানিক আদালতের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এনভি রমনা, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, দীপক গুপ্ত এবং সঞ্জীব খান্না।

২০১০ সালে এক যুগান্তকারী রায়ে দিল্লি হাইকোর্ট বলেন, ভারতের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় তথ্য অধিকার আইনের আওতাধীন হবে। বিচারিক স্বাধীনতা বিচারকের বিশেষ সুবিধা নয়, বরং তার ওপর অর্পিত একটি দায়িত্ব।

হাইকোর্ট সে সময় সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি খারিজ করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের দাবি, শীর্ষ বিচারকের কার্যালয় আরটিআই আইনের আওতায় আনলে বিচারিক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে।

প্রধান বিচারপতির কার্যালয় স্বচ্ছ আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপটি আরটিআই কর্মী এসসি আগারওয়াল শুরু করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আবেদন করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব কারণ বিচার করা উচিত নয়। তবে প্রয়োজনীয়তার মতাদর্শের কারণে এটি আপিল শুনানি করছে।

তথ্য অধিকার আইনের অধীনে তথ্য সরবরাহে বিঘ্নকে দুর্ভাগ্যজনক ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছেন প্রশান্ত ভূষণ। তিনি জিজ্ঞেস করেন, বিচারকেরা কি ভিন্ন মহাবিশ্বে বাস করেন?