রসগোল্লা দিবসে পশ্চিমবঙ্গের দুস্থরা পাবেন রসগোল্লা

নবীনচন্দ্র দাশের রসগোল্লা কারখানায় তৈরি রসগোল্লা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
নবীনচন্দ্র দাশের রসগোল্লা কারখানায় তৈরি রসগোল্লা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার ব্যাপক আয়োজনে উদ্‌যাপিত হচ্ছে রসগোল্লা দিবস। এ উপলক্ষে আজ বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে গরিব ও দুস্থদের দেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লা।

২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রসগোল্লাকে বাংলার সৃষ্টি বলে স্বীকৃতি দেয় ভারত সরকারের জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন বা জিআই। তবে রসগোল্লাকে বাংলার সৃষ্টি বলে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ওডিশার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা দাবি করেন, ওডিশাই প্রথম রসগোল্লা বানিয়েছিল। এ নিয়ে ওডিশার ব্যবসায়ীরা মামলা ঠুকে দেয়। সেই মামলার রায় বের হয় গত ৩০ অক্টোবর। আর তাতে ওডিশার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। রসগোল্লা হয়ে যায় বাংলার সম্পদ।

দিনটি স্মরণ করে আজ কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পালন করা হচ্ছে রসগোল্লা দিবস। পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি এই রসগোল্লা দিবস পালনের ডাক দেয়। মিষ্টি ব্যবসায়ীরা দিনটি পালন করবে দুস্থ, গরিব ও বিভিন্ন হোমের আবাসিকদের মুখে রসগোল্লা তুলে দিয়ে। এ জন্য কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বহু মিষ্টির দোকান সাজানোও হয়েছে।

আজ বিকেলে কলকাতার বাগবাজারের গৌরীমাতা উদ্যানে আয়োজন করা হয়েছে রসগোল্লা উৎসবের। এখানে রয়েছে রসগোল্লার স্রষ্টা নবীন চন্দ্র দাশের আবক্ষ মূর্তি। সেখানে নবীনচন্দ্রের গলায় মালা দিয়ে সূচনা করা হবে রসগোল্লা উৎসবের। থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রীসহ বিশিষ্টজনেরা। এখানেও আগতদের খাওয়ানো হবে রসগোল্লা।

নবীন চন্দ্র দাশের বংশধরদের বিরাট মিষ্টির দোকান আছে কলকাতার ধর্মতলার মোড়ে। নামে কেসি দাশ মিষ্টান্ন ভান্ডার। সেখানেও উদ্‌যাপন করা হচ্ছে রসগোল্লা উৎসব। হাওড়া ও হুগলিতেও পালিত হচ্ছে রসগোল্লা উৎসব।