ইসরায়েলি বসতি অবৈধ নয়: যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে প্রায় ৬ লাখ ইহুদি বাস করছে। ছবি: এএফপি
পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিতে প্রায় ৬ লাখ ইহুদি বাস করছে। ছবি: এএফপি

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতির বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইহুদিদের আর আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসংগতি হিসেবে দেখছে না। এ ব্যাপারে পূর্বসূরি বারাক ওবামার চেয়ে অধিক সহানুভূতিশীল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ইসরায়েল স্বাগত জানিয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গতকাল সোমবার বলেন, পশ্চিম তীরের অবস্থা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনার অনুকূলে ছিল।

১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েল অধিগ্রহণ করার পর থেকে নির্মাণ করা প্রায় ১৪০টি বসতিতে আনুমানিক ৬ লাখ ইহুদি বসবাস করছে। এই বসতি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ। বসতিটি ইসরায়েলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পম্পেও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনানুগ এই বিতর্ক নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বেসামরিক বসতি স্থাপনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ তিনি বলেন, বেসামরিক বসতি স্থাপনের কথা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। এই মন্তব্য শান্তির পথ প্রশস্ত করেনি।

ফিলিস্তিনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরেকাত বলেন, মার্কিন সিদ্ধান্তটি ‘বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তির’ পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক আইন ‘জঙ্গলের আইন’ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হওয়ার হুমকি তৈরি হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক ভুল শুধরে নেওয়া হলো বলে মন্তব্য করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যান্য দেশকেও তিনি এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইহুদি বসতি স্থাপন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্যতম বিতর্কিত বিষয়। ফিলিস্তিনিরা অনেক দিন ধরে ইহুদি সব জনবসতি অপসারণের আহ্বান জানিয়ে আসছে। ফিলিস্তিনিদের মতে, যে ভূখণ্ডকে তারা ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলে দাবি করবে, সেখানে ইহুদিদের উপস্থিতি তাদের দাবি বাস্তবে পরিণত করা প্রায় অসম্ভব করে তুলছে।

পম্পেও বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে সংঘাতের সম্ভাব্য সমাধানের রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি হবে। তবে সেই সমাধান এখন ইসরায়েলের পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, এখন পর্যন্ত শক্তির দিক থেকে ইসরায়েলই এগিয়ে।