পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করতে দেওয়া হবে না: মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দেশভাগের পর এবং পরবর্তী সময়ে যেসব উদ্বাস্তু এই রাজ্যে এসে বসবাস করছেন, তাঁদের আর রাজ্য ছাড়তে হবে না। তাঁরা এই রাজ্যেই থাকবেন। কারণ, তাঁরা এই রাজ্যের বাসিন্দা। তাই যাঁদের রেশনকার্ড, আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড রয়েছে, তাঁদের আর এই রাজ্য ছাড়তে হবে না। তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে এই রাজ্যে থাকবেন। এই রাজ্যে এনআরসি হবে না। এই রাজ্যে এনআরসি করতে দেওয়াও হবে না।

গতকাল সোমবার কোচবিহারে গিয়ে মমতা এ কথা বলেন।

বিভিন্ন সময়ে বিজেপির নেতারা বলছেন, এনআরসি হলেও কোনো উদ্বাস্তু বা শরণার্থীকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়ানো হবে না। রাজ্য ছাড়তে হবে না। তাঁরা এই রাজ্যেই থাকবেন। কোনো প্রমাণপত্র দিতে হবে না। এনআরসি হলে কেবল একটি ফরমে কবে তাঁরা এই রাজ্যে এসেছেন, তা জানালেই পেয়ে যাবেন নাগরিকত্ব। তবে এই রাজ্যে বেআইনিভাবে আসা অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দেওয়া হবে না। তাঁদের তাড়ানো হবে।

উত্তরবঙ্গে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) সম্প্রতি তৎপর। এই দলটি মূলত তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদের। এই দলের প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। তিনি ভারতীয় পার্লামেন্টের সদস্য। তাঁর দলের দুজন প্রতিনিধি লোকসভায় রয়েছেন।

সম্প্রতি বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়া জেলার কিষানগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ওয়েইসির দল জিতে যায়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ লাগোয়া বিহার রাজ্য। ওয়েইসির দলের এই বিজয়ের পর দলের নেতারা কোচবিহারের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি একটি পোস্টার লাগিয়েছেন। সেখানে বলা আছে, ‘অপেক্ষা শেষ, এবার মিশন পশ্চিমবঙ্গ’। এই পোস্টারের তৃণমূলের উদ্বেগ বেড়েছে। তারা মনে করছে, তাদের মুসলিম ভোট ব্যাংকে এবার ওয়েইসির দল ভাগ বসাচ্ছে। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে মমতার।