বিশুদ্ধ অক্সিজেন নেওয়ার দোকান

‘অক্সি পিওর’ দোকানে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিচ্ছেন একজন। ছবি: রয়টার্স
‘অক্সি পিওর’ দোকানে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিচ্ছেন একজন। ছবি: রয়টার্স

বায়ুদূষণ ব্যাধিতে নাকাল ভারতের দিল্লি। অবস্থা এতটাই খারাপ যে কবে রাজধানী সুস্থ হবে, কেউ তা বলতে পারছে না। দরকার না থাকলে ঘর থেকেই বের হচ্ছে না বাসিন্দারা। বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক। একটু বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে মরিয়া মানুষ। এই দূষণের মাঝে দিল্লির সাকেতে সিটি ওয়াক মলে খোলা হয়েছে একটি ব্যতিক্রমী পানশালা। এখানে পানের জন্য মিলছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন।

এই পানশালা বা দোকানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্সি পিওর’। চলতি বছরের মে মাসে চালু হওয়া এই পানশালা ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আরিয়াভির কুমার ও মার্গারিটা কুরিতসায়ানার যৌথ উদ্যোগে এই প্রথম দিল্লিতে এমন ধারার পানশালা তৈরি হলো। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পানশালায় একবার ১৫ মিনিটের জন্য বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেওয়া হয়। এর দাম পড়ে ২৯৯ রুপি। সাতটি সুগন্ধে এই অক্সিজেন পাওয়া যায়। অক্সি পিওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্রেতা যে সুগন্ধ পছন্দ করবেন, সেই গন্ধেরই বিশুদ্ধ অক্সিজেন তাঁকে দেওয়া হয়। সরবরাহ করা সেই অক্সিজেনে একটি নির্দিষ্ট চাপে রাখা হয়।

দিল্লি বিমানবন্দরেও এমন একটি পানশালা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

অক্সি পিওরের দাবি, এই অক্সিজেনের নানা উপকারিতা আছে। অক্সি পিওয়ের ওই কর্তার দাবি, বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিলে শরীরে এনার্জি বাড়ে, ভালো ঘুম হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, মানসিক অবসাদ কমে, হজমও ভালো হয়। সব মিলিয়ে শরীর, মন ভালো থাকে।

মনজুল মেহতা নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখলাম তারা বলছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেবে । আমি ভাবলাম একবার নিয়েই দেখি। আমি লেমন গ্রাসের সুগন্ধযুক্ত অক্সিজেন নিয়েছি। এটা খুবই সতেজ ছিল।’

এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, এভাবে বিশুদ্ধ শ্বাস নেওয়ায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তবে দীর্ঘ মেয়াদে কোনো লাভও নেই। দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক রাজেশ চাওলা বলেন, ‘আপনি দুই ঘণ্টা ধরেও যদি সতেজ বায়ু গ্রহণ করেন, তারপরও তো ২২ ঘণ্টা দূষিত বায়ু নিচ্ছেন।’ তিনি মনে করেন এটি পুরোপুরি একটি পুঁজিবাদী ধারণা।