বিজেপি এবার সিপিএম ভাঙাতে চায়

দল ভাঙার খেলায় এখন বিজেপি এগিয়ে। সরকার গড়া বা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য অন্য দল ভেঙে দলে নেতা ভেড়ানোয় জুড়ি নেই বিজেপির। রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও অন্য দলের বিধায়কদের নিয়ে সরকার গড়ার নজির রয়েছে দলটির।

বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বহু সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাকে দলে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত সিপিএমকে নিয়ে এই খেলা খেলতে পারেনি। তাই বিজেপির নেতারা নতুন লক্ষ্য নিয়েছেন, এবার সিপিএমকে ভেঙে নেতা আনতে হবে দলে। কারণ, সিপিএমের নেতারা মার্জিত ও শিক্ষিত।

বিজেপি এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কজন তৃণমূল নেতাকে নিজেদের দলে বাগিয়ে আনতে সমর্থ হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক বিধায়ক অর্জুন সিং, সাবেক তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, সাবেক বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক, সাবেক সাংসদ অনুপম হাজরা, ছাত্রনেতা শঙ্কুদেব পন্ডা, কলকাতার পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

বিজেপি বলছে, আরও শতাধিক বিধায়ক তাদের দলে যোগদানের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

দল ভাঙার খেলায় বিজেপি নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। তা হলো, এবার সিপিএম থেকে নেতা আনতে হবে দলে।

বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্য বিজেপির এক বৈঠকে বলেন, ‘এবার সিপিএমকে দলে নিতে হবে। এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। কারণ, সিপিএমের নেতারা মার্জিত, ভদ্র ও শিক্ষিত। তাঁরা দলে থাকলে ভালো। তাঁদের একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।’

বিজেপির কাছ থেকে এমন কথা শোনার পর সিপিএমের রাজ্য বিধানসভার পরিষদীয় দলের নেতা ও বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী গতকাল বলেছেন, ‘এটা অমিত-মার্কা কথা। কোনো দেশপ্রেমিক, গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ বিজেপিতে যেতে পারেন না। বামপন্থীরা আদর্শ নিয়ে চলেন। মানুষ এটা ভালোভাবে জানে। জানে বলেই এখনো বামপন্থীরা গুরুত্ব পান।’

সিপিএমের বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘তাহলে বিজেপি স্বীকার করে নিল, তাদের দলে কোনো শিক্ষিত নেতা নেই? অন্য পার্টির কাছ থেকে নেতা ধার করে ওদের চলতে হয়। যেমন বিধায়ক ধার করে। তাই নিজেরাই যে পার্টিকে অশিক্ষিত বলছেন, সেই পার্টিতে মার্জিত, ভদ্র ও শিক্ষিত মানুষ তো যেতে পারেন না।’