হংকংয়ে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আইনে স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানানো একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
ট্রাম্প জানান, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন ও হংকংয়ের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইনটিতে স্বাক্ষর করেছেন।
হংকং সরকার বলছে, এই আইন পাস হলে আন্দোলনকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি শান্ত করতে আইনটি কাজে আসবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ওয়াশিংটনের পুরোপুরি চক্রান্তমূলক উদ্দেশ্য বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, আইনটি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আইনটি অপ্রয়োজনীয় ও ভিত্তিহীন। এই আইনের ফলে এই অঞ্চলের সঙ্গে আমেরিকার অর্থনৈতিক বিনিময় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ মর্যাদা বজায় রাখার মতো পর্যাপ্ত স্বায়ত্তশাসন আছে কি না, তা যাচাই করতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র আইন একটি বার্ষিক পর্যালোচনা জারি করেছে।
এর আগে ট্রাম্প এই বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না। হংকংয়ের পাশে আছেন জানালেও সিকে মহান বলতে ভুল করেননি তিনি।
তবে বিলের ব্যাপারে কংগ্রেসের ব্যাপক সমর্থন ছিল। যার মানে এই দাঁড়াচ্ছে যে ট্রাম্প ভেটো দিলেও সংসদ সদস্যরা তাঁর সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিতে পারতেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় একটি বিলেও স্বাক্ষর করেছেন, যা হংকং পুলিশের কাছে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং স্টেনগানসহ ভিড় নিয়ন্ত্রণে সহায়ক সামগ্রী রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।
ট্রাম্প বলেছেন, চীন ও হংকংয়ের নেতারা এবং প্রতিনিধিরা তাঁদের মতপার্থক্যকে সুস্পষ্টভাবে মীমাংসা করতে সক্ষম হবেন—বিলগুলো এই আশায় কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে সবার জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও সমৃদ্ধি ঘটবে।
যা আছে এই আইনে
বিলটি জুনে হংকং বিক্ষোভের শুরুর দিকে প্রবর্তন করা হয়েছিল। গত মাসে এটি হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে বিপুল পরিমাণে অনুমোদন পায়।
এতে বলা হয়, হংকং চীনের অংশ হলেও এর একটি পৃথক আইনি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে। বার্ষিক পর্যালোচনা মূল্যায়ন করবে চীন হংকংয়ের বেসামরিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন খর্ব করছে কি না।
বিলটিতে আরও বলা হয়েছে, অহিংস বিক্ষোভের অংশীদার হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হলেও আমেরিকায় হংকংয়ের বাসিন্দাদের মার্কিন ভিসা পাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।