ভারতের ইম্ফল যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

শিনজো আবে। রয়টার্স ফাইল ছবি
শিনজো আবে। রয়টার্স ফাইল ছবি

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের ইম্ফল সফর করবেন। এটি তাঁর পরিকল্পিত ভারত সফরের অংশ। শিনজো আবে ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ভারত সফর করবেন। ১৬ ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসবেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ইম্ফল সফরকে অনেকেই জাতীয়তাবাদী চেতনা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াস হিসেবে দেখছেন। জাপানি নাগরিকদের কাছে ইম্ফলের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালে জাপানি রাজকীয় বাহিনী ইম্ফলে গিয়েছিল। এই বাহিনী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজের সহায়তা নিয়েছিল। ইম্ফলের আরও কিছুটা উত্তরে নাগাল্যান্ডের কোহিমায় ফিল্ড মার্শাল উইলিয়াম স্লিমের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির প্রতিরোধের মুখে জাপানিদের পিছু হটতে হয়। এরপর থেকে রাজকীয় জাপানি বাহিনী ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নিজ ভূখণ্ডের সীমিত গণ্ডিতে ফিরে এসে ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। কোহিমার যুদ্ধে জাপানকে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন হাজার জাপানি সেই যুদ্ধে প্রাণ হারান।

জাপান অবশ্য বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পূর্বমুখী তৎপরতার নীতির আলোকে ইম্ফল এখন প্রতীকী এক স্থানে পরিণত হয়েছে। এবারের ভারত সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইম্ফলকে অন্যতম একটি গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর পেছনে বেশ কিছু হিসাবনিকাশও রয়েছে। ভারত চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে ঠেকিয়ে রাখতে চায়। চীনকে জাপানের সঙ্গে গড়ে ওঠা নতুন মৈত্রীর ইঙ্গিত হয়তো দিতে চায় ভারত।