লন্ডন হামলায় নিহত সাসকিয়া কেমন ছিলেন

সাসকিয়া জোনস। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
সাসকিয়া জোনস। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

লন্ডন ব্রিজে হামলায় নিহত নারীর নাম জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর নাম সাসকিয়া জোনস। ২৩ বছরের সাসকিয়া কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছিলেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জ্যাক মেরিটের সঙ্গে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় তাঁকে।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, মেরিট ও জোনসের পরিবার তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মেরিটের পরিবার জানায়, জ্যাক মেরিট খুবই প্রতিভাবান ছিলেন। তিনি তাঁর জীবনে নিজস্ব কিছু আদর্শ অনুযায়ী চলতেন। তিনি প্রতিশোধ নয়, ক্ষমায় বিশ্বাসী ছিলেন। জ্যাক ছিলেন বুদ্ধিমান ও সুচিন্তক ।

জোনসের পরিবার বলেছে, তাদের মেয়ে চাইতেন, যাঁদের সঙ্গে অপরাধ হয়েছে তাঁরা ন্যায়বিচার পাক। পরিবার বলছে, সাসকিয়া জোনস কৌতুক করতে পছন্দ করতেন। তিনি দয়ালু ছিলেন। বিভিন্ন মানুষের জীবনাচরণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারতেন।

সাসকিয়া মজা করতে পছন্দ করতেন। তাঁর জ্ঞানের তৃষ্ণা ছিল। সাসকিয়ার পরিবারের জন্য সময়টি খুবই বেদনাদায়ক।

অধ্যাপক স্টিফেন জে টুপ বলেন, বন্দীদের পুনর্বাসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নিং টুগেদার কর্মসূচির পাঁচ বছর পূর্তি উদযাপনে অংশ নিয়েছিলেন দুই শিক্ষার্থী।

শুক্রবার লন্ডন ব্রিজের কাছে কয়েদি ও সন্ত্রাসবাদীদের পুনর্বাসন বিষয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘লার্নিং টুগেদার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মেরিট ও জোনস। ওই অনুষ্ঠানের কোর্স সমন্বয়কারী ছিলেন জ্যাক। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালে বেলা পৌনে দুইটার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে উসমান খান হামলা চালান। এতে জ্যাকসহ দুজন নিহত ও তিনজন আহত হন। পরে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এ হামলার দায় স্বীকার করে।

উসমান খান ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কারাগার থেকে মুক্তি পান। হামলার পরে পরে লন্ডন ব্রিজে পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।