যুক্তরাজ্যে প্রতিবন্ধী কর্মীদের বেতন কম

অন্য কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে প্রতিবন্ধী মানুষের মজুরি ব্যবধান প্রায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স
অন্য কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে প্রতিবন্ধী মানুষের মজুরি ব্যবধান প্রায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন চাকরিতে কর্মরত প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। একই কাজে অন্যদের তুলনায় প্রতিবন্ধী মানুষের বেতনের ব্যবধান অনেক বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশটির সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর—এই তিন মাসে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী কর্মজীবী মানুষের হার ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি।

তবে বছর ছয় আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। বর্তমানে প্রতিবন্ধী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর যে সংখ্যা, তা ২০১৩ সালের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস (৩ ডিসেম্বর) উপলক্ষে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (ওএনএস)।

অবশ্য এখনো প্রতিবন্ধী নয়, এমন মানুষের কর্মসংস্থানের হার যুক্তরাজ্যে বেশি, ৮১ দশমিক ৮ শতাংশ।

এবারই প্রথম মজুরি ব্যবধানের বিষয়টি তুলে ধরেছে জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে দেখা যায়, অন্য কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে প্রতিবন্ধী মানুষের মজুরি ব্যবধান প্রায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রতিবন্ধী কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী সব সময়ই কম মজুরি পাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে শ্রমবাজারে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রবেশ বাড়লেও মজুরি ব্যবধানটা শুরু থেকেই রয়ে গেছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের ব্যবধান কমিয়ে আনার অগ্রগতি খুবই আশাব্যঞ্জক। তবে সাম্য অর্জনের জন্য এখনো অনেক দূর যেতে হবে। প্রচুর প্রতিবন্ধী মানুষ চাকরি পেতে বা কাজে থাকার জন্য কুসংস্কার ও সংগ্রামের মুখোমুখি হন। এ ছাড়া বড় পদে বা অপেক্ষাকৃত বেশি দায়িত্বশীল কাজে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগ দেওয়ার হার অনেক কম।

তাঁরা মনে করছেন, যেহেতু প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিষয়ে শ্রমবাজার কিছুটা নরম হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন নীতি নির্ধারিত হলে চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের নেওয়ার হার আরও বাড়বে।

২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী ১৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে প্রতি ৫ জনে একজন প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই একটু বেশি। সেখানে প্রতি ৪ জনে একজন মানুষ প্রতিবন্ধী। তবে লন্ডনে এই হার সবচেয়ে কম। সেখানে ওই বয়স গ্রুপে প্রতি ১৫ জনে একজন মানুষ প্রতিবন্ধী।