ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় কামুরির আঘাত

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড লেগাজপি শহর। ছবি: রয়টার্স
ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড লেগাজপি শহর। ছবি: রয়টার্স

ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত নিয়ে আজ মঙ্গলবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কামুরি। নিরাপত্তার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল সোমবার গভীর রাত থেকে শক্তিশালী এই ঝড়ের কারণে ম্যানিলার দক্ষিণাঞ্চলে ঝোড়ো বাতাস বইছে। এখানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। এ ছাড়া সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমস (এসইএ) উপলক্ষে বর্তমানে অনেক খেলোয়াড় অবস্থান করছেন এই শহরে। ঝড়ের কারণে এসইএ গেমসের বেশ কয়েকটি ইভেন্ট বাতিল ও নতুনভাবে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কামুরি দুর্বল হলেও এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। এর প্রভাবে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। উত্তর-পশ্চিমে সরে যেতে যেতে বাতাস ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার বেগে বইছে।

দেশটির জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানায়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তবে দেখে মনে হচ্ছে ক্ষতি মারাত্মক। কিছু জায়গায় পানির উচ্চতা বাসার ছাদ পর্যন্ত উঠেছে। বহু গাছপালা উপড়ে গেছে ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দেশটির নিনয় অ্যাকুইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। কখন বিমান চলাচল স্বাভাবিক হবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। এর আগে রাত ১১টায় বিমান চলাচল শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এখন বলা হচ্ছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

দেশটির জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপকূলীয় এবং পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার অধিবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ম্যানিলার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে সতর্কতা হিসেবে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল, তবে কত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ফিলিপাইন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর একটি। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০টি ঝড়ের মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। এসব ঝড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৩ সালে এক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ৭ হাজার ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল।