উষ্ণতার রেকর্ডে শীর্ষ তিনে ২০১৯
ক্রমাগত কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ববাসী। জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য জানার পর সেই উদ্বেগ আরেকটু বাড়তে বাধ্য। উষ্ণতার দিক থেকে ২০১৯ সালকে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ তিন বছরের একটি বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। শুধু তা–ই নয়, বর্তমান দশককে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ দশক হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পুরো পৃথিবীর তাপমাত্রা শিল্পপূর্ববর্তী যুগের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেশি ছিল। হিসাব রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে উষ্ণতম তিন বছরের একটি ২০১৯।
ডব্লিউএমও জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অধিকসংখ্যক স্থাপনা নির্মাণসহ নানা কারণে এ বছর নজিরবিহীন কার্বন নিঃসরণ হয়েছে। যে কারণে উষ্ণতম বছরগুলোর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে চলতি বছর।
গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপমাত্রার ৯০ শতাংশই শোষণ করে নেয় সমুদ্রগুলো। সেগুলোর অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ১৫০ বছর আগের তুলনায় সমুদ্রগুলো এখন এক-চতুর্থাংশ বেশি অ্যাসিডযুক্ত। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। গত অক্টোবরে বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। গত এক বছরে কেবল আইসল্যান্ড থেকেই ৩২৯ বিলিয়ন টন বরফ গলে গেছে।
২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে প্রায় এক কোটি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ লাখ মানুষের ঘরছাড়া হওয়ার কারণ হলো ঝড়, বন্যা, খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বছর শেষ হতে হতে এ সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। ডব্লিউএমওর সেক্রেটারি জেনারেল পেত্তেরি তালাস বলেছেন, বন্যা কিংবা অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আগে শতকে একবার হতো। কিন্তু এখন সেগুলো নিয়মিতভাবে হচ্ছে।