বরফে ঢাকা পর্বতে কিমের 'আদর্শ' শহর

স্বনির্ভর শহর সিমচিওন উদ্বোধন করেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং–উন। ছবি: রয়টার্স
স্বনির্ভর শহর সিমচিওন উদ্বোধন করেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং–উন। ছবি: রয়টার্স

বরফে ঢাকা পর্বতে স্বনির্ভর ‘আদর্শ’ শহর গড়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ খবর নিশ্চিত করেছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার কিম চীন সীমান্তের মাউন্ট পিকতুতে এই আদর্শ শহরের উদ্বোধন করেন। এই শহরে চার হাজার পরিবার থাকতে পারবে। এতে সরকারি ও শিল্প ভবন, হাসপাতাল, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শীতকালীন খেলাধুলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্কি রিসোর্ট ও হোটেলসুবিধা রাখা হয়েছে।

এই শহরকে কিমের ‘স্মৃতিস্মারক প্রকল্প’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শহরটির নাম দেওয়া হয়েছে সিমচিওন। বলা হচ্ছে, এই শহরকে কিমের পরিবার তাঁদের ‘শিকড়’ বলে দাবি করছেন। প্রচলিত আছে, এখানেই কিমের বাবার জন্ম হয়েছিল।

পেছনে কিম জং ইলের ভাস্কর্য রেখে ছেলে কিম জং–উন সিমচিওন শহরের উদ্বোধন করেন। ছবি: রয়টার্স
পেছনে কিম জং ইলের ভাস্কর্য রেখে ছেলে কিম জং–উন সিমচিওন শহরের উদ্বোধন করেন। ছবি: রয়টার্স

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শহরের গোড়াপত্তন কিমের অর্থনৈতিক উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। মূল উদ্দেশ্যে হলো এই শহরগুলো হবে স্বনির্ভর। এ ধরনের শহরগুলোয় সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। শহরের বাসিন্দাদের অর্থের জোগান শহর থেকেই হবে।

তবে উদ্বোধন হওয়া এই শহর তৈরিতে তরুণ শ্রমিকের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা আছে। অনেক মানবাধিকারকর্মীর দাবি, এই শহরের সঙ্গে জড়িত তরুণ নির্মাণকর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। তাঁদের সঙ্গে দাসের মতো আচরণ করা হয়েছে। তাঁদের ঠিকমতো খেতে না দেওয়ার অভিযোগও আছে।

অন্যদিকে, পারমাণবিক কর্মসূচির ফলে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় শহরটি নির্মাণে দীর্ঘ সময় লেগেছে। পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় সেখানে নির্মাণ সামগ্রী পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে।

আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে সিমচিওনে। ছবি: এএফপি
আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে সিমচিওনে। ছবি: এএফপি

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলোয় দেখা গেছে, কিম লাল ফিতা কেটে সিমচিওনের উদ্বোধন করছেন। পেছনে ছিল তাঁর বাবা কিম জং ইলের ভাস্কর্য। আতশবাজির ঝলকানিতে পুরো শহর ছিল আলোকিত।

এর আগে সর্বশেষ গত অক্টোবরে কিম এই মাউন্ট পিকতুতে গিয়েছিলেন। তখন তিনি সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন ঘোরায় চড়ে পর্বত আরোহণের কারণে।