'বাঙালির অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে'

এনআরসি
এনআরসি

ত্রিপুরা ও আসামের সমতল অঞ্চল বাদে অন্য অঞ্চলে বাঙালিরা নাগরিকত্ব সংশোধনীর ফলে বিপাকে পড়বেন বলে মনে করছেন আসামের নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির সচিব প্রধান সাধন পুরকায়স্থ। তিনি বলেছেন, আমরা বিলের সরাসরি বিরোধিতা করছি না ঠিকই, তবে যে আকারে বিলটি আনা হয়েছে, ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের আদিবাসী অঞ্চলের বাঙালি নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করার সুযোগটুকু পাবেন না। এতে বাঙালির কোনো অধিকারই থাকবে না।

সাধন পুরকায়স্থ অভিযোগ করেন, আইন করে বাঙালির সব অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সংশোধনীর নামে ভারতীয় সংবিধানের অবমাননা করা হয়েছে। তাঁর মতে, এসবই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। পুরোনো নাগরিকদের মর্যাদা থাকবে এমন ব্যবস্থা থাকা দরকার সংশোধনীতে। নিঃস্বার্থ নাগরিকত্ব দিতে হবে সব বাঙালিকে। তাদের পুনর্বাসনও দিতে হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত বুধবার যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিরোধী দলগুলো।

সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব অবৈধ ও অসাংবিধানিক।

লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে।

তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, এনআরসি ও নাগরিক সংশোধনী বিল পরস্পর সংযুক্ত। এনআরসিতে ধর্মের ভিত্তিতে তালিকা করা হয়নি ঠিকই, কিন্তু এতে যেসব হিন্দুর নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এ বিল আনা হচ্ছে। এটি ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কৌশল বলে চিহ্নিত করে এর আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় যৌথ কমিটিতে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ সৌগত রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন।