প্রতি ৭০ জাপানি সেনার জন্য একজন যৌনদাসী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সেনারা কোরিয়ার অনেক নারীকে ধরে নিয়ে এসে নিজেদের যৌনদাসী করে রাখতেন—এমন খবর বেশ পুরোনো। এবার এই বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি ৭০ সেনার জন্য একজন করে ‘কমফোর্ট উইমেন’ তথা যৌনদাসী সরবরাহ করতে তৎকালীন জাপানি সরকারকে অনুরোধ করে দ্য ইম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মি। যুদ্ধকালীন সরকারি নথির বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনারা যে যৌনদাসী রাখতেন, সেই বিতর্কিত বিষয়ে নতুন তথ্য উঠে এল এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে। ওই কমফোর্ট উইমেনদের বেশির ভাগই ছিলেন কোরীয় নারী। তাঁদের জাপানি সেনাদের যৌনপল্লিতে রেখে জোরপূর্বক যৌনকাজে বাধ্য করা হতো। এই ঘটনার কারণে দশকের পর দশক ধরে জাপান ও কোরিয়ার মধ্যে টানাপোড়েন চলে আসছে।

গত শুক্রবার কিয়োদোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চলাকালে চীনের শানডং প্রদেশের কিংডাওয়ে জাপানের কনস্যাল জেনারেলের কার্যালয় থেকে টোকিওতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় একটি সরকারি নথি। সেখানে বলা হয়, ইম্পেরিয়াল আর্মি প্রতি ৭০ সেনার জন্য একজন নারী পাঠাতে সরকারকে অনুরোধ করে। চীনের একই প্রদেশের জিনানের কনস্যাল জেনারেলের কার্যালয় থেকে পাঠানো আরেকটি নথিতে বলা হয়, জাপানি বাহিনী অগ্রসর হওয়ায় এখানে অন্তত ৫০০ কমফোর্ট নারীকে অবশ্যই পাঠাতে হবে।

দ্য ১৯৯৩ ‘কোনো স্টেটমেন্ট’ শিরোনামে ওই নথি পাঠানো হয়। সেই সময়কার প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োহেই কোনোর নামের অংশ দিয়ে ওই শিরোনাম লেখা হয়। জাপানি সেনাদের যৌনপল্লিতে নারী পাঠানোর কথা জাপানের কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও এই বিষয়ে বিতর্ক থামেনি। 

জাপানের কোনো কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।