সিডনিতে দাবানল, বাংলাদেশিরা নিরাপদে

সিডনিতে শুরু হয়েছে দাবানল। ছবি: এএফপি
সিডনিতে শুরু হয়েছে দাবানল। ছবি: এএফপি

দাবানলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন সিডনি। বাতিল হয়েছে ফেরি, ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অনেক মানুষকে। নির্ধারিত কিছু বিমানযাত্রাও বিলম্বিত হয়েছে। তবে সিডনিজুড়ে বসবাসরত বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন।

৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সঙ্গে আজ মঙ্গলবার সিডনিতে শক্তিশালী বাতাসও রয়েছে। দিনের শেষভাগে বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকায় বিদ্যমান দাবানল আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সেই দাবানল শিগগিরই মূল সিডনি শহরে ঢোকার আশঙ্কা কম।

সিডনির বাতাসের গুণগত মান আজ বেশ খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের পরিবেশগত স্বাস্থ্য শাখার পরিচালক রিচার্ড ব্রুম বলেন, সিডনির বাতাসের গুণমান আজ অত্যন্ত খারাপ। আগামী বুধবার পর্যন্ত সিডনিতে এই ধোঁয়াশা থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহত্তর সিডনিসহ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের নয়টি অঞ্চলে অরক্ষিতভাবে আগুন জ্বালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দাবানলে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন হেক্টর জায়গা পুড়েছে এবং ছয়জনের প্রাণহানি হয়েছে।

দাবানল অস্ট্রেলিয়াজুড়ে একটি নিয়মিত ঘটনা। আবহাওয়া খুব গরম এবং শুকনো থাকাকালে সময়ে এই দাবানল শুরু হয়। তাপমাত্রা যত বেশি, দাবানল হওয়ার আশঙ্কাও তত বেশি থাকে। দাবানলগুলো সাধারণত মানুষের ইচ্ছাকৃত কার্যকলাপ থেকেই ঘটে। অনেক সময় বজ্রপাত বা গাছের প্রাকৃতিক জ্বালানির সংঘর্ষেও দাবানল শুরু হয়। অনেক আগে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা ঘন বনজঙ্গল সাফ করতে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে দিত। প্রতিবছর এই দাবানলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। দাবানলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেবারের দাবানলে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে ১৭৩ জনের প্রাণহানি এবং প্রায় ৪ হাজার ঘরবাড়ি ও অন্যান্য কাঠামো পুড়ে গিয়েছিল।