পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ চলছেই, মুর্শিদাবাদে পাঁচটি ট্রেনে আগুন

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভ চলছেই। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন কমপ্লেক্সে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আজ শনিবার মুর্শিদাবাদেরই লালগোলা রেলওয়ে স্টেশনে পাঁচটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তবে সৌভাগ্যবশত ওই সময় সব কটি ট্রেনই ফাঁকা ছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শনিবার সন্ধ্যায় লালগোলা স্টেশনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁরা পাঁচটি ফাঁকা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেন। ট্রেনগুলোয় যাত্রী না থাকায় হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজ সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজ্য। রাজ্যের বেশ কয়েকটি রেলস্টেশনে হামলা চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার। বাধ্য হয়ে দূরপাল্লার ১১টি যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। হাওড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

সাঁকরাইল পোস্ট অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
সাঁকরাইল পোস্ট অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এদিকে আজ হাওড়ার সাঁকরাইল স্টেশনে সিগন্যালিং ব্যবস্থা তছনছ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, এই পথের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হওয়ার পর পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে। বিক্ষোভকারীরা সাঁকরাইল পোস্ট অফিসও পুড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সেই আগুন নেভাতে আসা দমকল বাহিনীর একটি গাড়িতেও আজ সকালে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।