নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভ, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: রয়টার্স
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি: রয়টার্স

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে দেশটির খ্যাতনামা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনডিটিভির অনলাইনে ভারতের উত্তর প্রদেশের এ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের খবর প্রকাশিত হয়েছে আজ সোমবার।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ কয়েক দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ। গতকাল রোববার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে খোদ রাজধানী দিল্লিতে। গতকাল বিকেলে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াসংলগ্ন নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। জামিয়ার ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী পুলিশের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে আহত হন।

গতকাল জামিয়ার এ ঘটনার পর বিক্ষোভ ছড়ায় আলিগড়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করে জামিয়ার আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁদের সংহতি প্রকাশ করেন। গতকাল এখানেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ পুলিশ সদস্য ও প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হন।

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি হামজা সুফিয়ানকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জামিয়ার খবরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেয়। এরপর পুলিশ এসে তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।’

তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের সময় আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। এ সময় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়।

বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের পুলিশপ্রধান বলেছেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খালি করে দেওয়া হবে।

আজ আলিগড় শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে দিচ্ছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।