ঝাড়খন্ডে বিজেপি-কংগ্রেস হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

বিজেপি ও কংগ্রেস
বিজেপি ও কংগ্রেস

বুথ ফেরত জরিপগুলোর প্রতিটিতেই বলা হয়েছিল, ঝাড়খন্ডে ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভারতের এই রাজ্যে বিধানসভার ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরুর এক ঘণ্টা হয়ে গেছে। ফলাফলের এখনকার প্রবণতা হলো, ক্ষমতাসীন বিজেপি আর কংগ্রেস একেবারে মুখোমুখি অবস্থানে আছে। এই রাজ্য বিধানসভার আসন ৮১টি।

এনডিটিভিতে দেওয়া ফলাফল বলছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৪টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। আর ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চা ও কংগ্রেস জোট এগিয়ে আছে ৩২টি আসনে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল দুটি আসনে এগিয়ে আছে। আর অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু) এগিয়ে ছয় আসনে। ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চা এগিয়ে চার আসনে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রতিটি দল এখনো চুপচাপ। ভোটের এই প্রবণতা থাকলে ঝুলন্ত অবস্থার সৃষ্টি হবে। পাঁচ দফার ভোট শেষ হয়ে আজই ফল ঘোষণা শুরু হয় আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায়।

বিজেপির মনে সংশয়টা জাগিয়েছে শেষ দফার ভোটের পর রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল। তিনটি সংস্থার সমীক্ষার ফলেই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস-ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা-রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট। পাঁচ বছর আগের মতো বিজেপি এবারও একক বৃহত্তম দল থাকছে। কিন্তু এবার বিজেপি জোট করেনি মোদি-মাহাত্ম্যে ভর দিয়ে। তারা একাকী ভাগ্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সংশয় যদি সত্য হয়, বিজেপির দুশ্চিন্তার বলিরেখা তাতে যেমন আরও গাঢ় হবে, তেমনই উৎফুল্ল হয়ে উঠবে বিরোধী দল।

বিজেপির চিন্তার কারণ একাধিক। ২০১৪ সাল থেকে সব ধরনের ভোটে বিজেপির প্রচার নিতান্তই ‘একমুখী’। নির্ভেজাল মোদিময়। ঝাড়খন্ডের প্রচারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। লোকসভার ভোটের পর মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ভোট হলো। মোদি-মাহাত্ম্যে ভর দিয়ে বিজেপি জনজোয়ারে ভেসে যেতে পারল না। মহারাষ্ট্রে তাদের হারাতে হলো সরকার এবং তিন দশক ধরে সবচেয়ে কাছের বন্ধু দলকে।

ঝাড়খন্ডের এই ভোট আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে নতুন বছরের গোড়ায় দিল্লির ভোটের কারণে। ঝাড়খন্ড ধরে রাখতে পারলে দিল্লি জয়ে বিজেপি নতুন তাগিদ পাবে। কিন্তু তা না হলে দিল্লির নেতাদের মনে হতাশা বাসা বাঁধা আশ্চর্যের নয়। এমনিতেই দিল্লিতে বিজেপির গ্রহণযোগ্য মুখের অভাব যথেষ্টই। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ আম আদমি পার্টিও খুব তাগড়া। পাঁচ বছর শাসন করার পর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও একবার ক্ষমতা লাভের প্রত্যাশা করছেন স্রেফ স্থানীয় উন্নয়নের নিরিখে।