সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার

কম্পিউটারে তৈরি করা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাভানগার্ডের অনুরূপ।  ছবি: বিবিসি
কম্পিউটারে তৈরি করা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাভানগার্ডের অনুরূপ। ছবি: বিবিসি

রাশিয়া প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাভানগার্ড মোতায়েন করেছে। গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এই তথ্য জানিয়েছেন। এই মোতায়েনের মাধ্যমে ক্রেমলিন সামরিক সক্ষমতায় আরও এগিয়ে গেল।

সামরিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় হাইপারসনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা প্রথম কোনো দেশ রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে ২০ গুণ বেশি গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

শুক্রবার এক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, ‘২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অ্যাভানগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম রেজিমেন্ট চালু হয়েছে।’ অত্যাধুনিক ওই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে মোতায়েনের জন্য সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এটাকে দেশ ও সামরিক বাহিনীর জন্য ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবহিত করেছেন শোগুই। এর আগে কর্মকর্তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চল উরালের অরেনবার্গ এলাকায় প্রথম অ্যাভানগার্ড রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়।

মস্কোর হায়ার স্কুল অব ইকোনমিকসের ভাসিলি কাশিন বলেন, ‘আন্তমহাদেশীয় হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রথম কোনো ঘটনা এটা। এটা একটি উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি।’

মস্কো বলেছে, গত নভেম্বরে অ্যাভেনগার্ড ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরিদর্শকেরা। পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি নিউ স্ট্রার্টের আওতায় মার্কিন কর্মকর্তাদের ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়। চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালে।