'সান্তা' বিল গেটস দিলেন বড়দিনের অবাক করা উপহার

বিল গেটসের থেকে ‘সারপ্রাইজ গিফট’ পেয়ে দারুণ খুশি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা শেলবি। ছবি: রেডিটের সৌজন্যে
বিল গেটসের থেকে ‘সারপ্রাইজ গিফট’ পেয়ে দারুণ খুশি যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা শেলবি। ছবি: রেডিটের সৌজন্যে

বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবছরই উপহার আদান-প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জনপ্রিয় মার্কিন ওয়েবসাইট রেডিট। অনলাইনভিত্তিক এই আয়োজনে এবার অংশগ্রহণ করেছিলেন মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা শেলবি। তবে অনুষ্ঠানে তাঁর জন্য যে চমক অপেক্ষা করছিল, সেটি ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি শেলবি। স্বয়ং বিল গেটসের থেকে উপহার পেয়েছেন তিনি!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে নিয়ম করে প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বিল গেটস। সান্তা ক্লজের মতো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের কাছে বড়দিনের উপহার পৌঁছে দেন তিনি। এই বছর সেই সৌভাগ্য হয়েছে ৩৫ বছর বয়সী নারী শেলবির। অপ্রত্যাশিতভাবে এত বড় চমক পেয়ে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই বিস্ময় লুকোনোর চেষ্টাও করেননি তিনি। বলেন, ‘বিল গেটস যে প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন, এটা জানা ছিল। কিন্তু আমি কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি, তিনি সান্তা হয়ে আমাকে উপহার দেবেন।’

উপহারদাতা যখন বিল গেটস, উপহারের ‘ওজন’টাও তো সে রকমই হতে হবে। শেলবির কাছে যে উপহারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছেন গেটস, সেটির ওজন ছিল ৩৬ কেজি! রেডিট জানিয়েছে, উপহারের প্যাকেটে ছিল ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি’ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপির একটি কপি, একটি হ্যামক, প্রচুর চকলেট, হ্যারি পটারের সান্তা হ্যাটসহ আরও অনেক কিছু। শুধু তা–ই নয়, শেলবির পোষা বিড়ালের জন্যও উপহার পাঠিয়েছেন তিনি!

এ ছাড়া আরেকটি মহৎ কাজও করেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। শেলবির মায়ের নামে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দান করেছেন তিনি। শেলবির বিয়ের মাত্র ১০ দিন আগে মারা গিয়েছিলেন তাঁর মা।

উপহার পাওয়ার বিস্ময় কেটে যাওয়ার পর অবশ্য বিল গেটসকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি শেলবি। ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, ‘বিল গেটস, আপনি আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন। আপনার থেকে উপহার পেয়ে আমি কতটা ভাগ্যবান বা গর্বিত বোধ করছি, সেটি আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না। আমার মায়ের নামে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে আপনি যে দান করেছেন, সেটি আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ উপহার। আমি এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’