ভারতে ১১০ বাঘ ও ৪৯১ চিতাবাঘের মৃত্যু

ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

গত বছর ভারতে ১১০টি বাঘ এবং ৪৯১টি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। চোরা শিকারিদের হাতেই মৃত্যুর ঘটনা বেশি। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর মৃত্যু হওয়া ১১০টি বাঘের মধ্যে ৩৮টির মৃত্যু হয়েছে চোরা শিকারিদের হাতে। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৪। ওই বছর ১০৪টি বাঘ মারা গিয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ৫০০টি চিতাবাঘ মারা যায়। বিদায়ী বছরে এ সংখ্যা কমে হয়েছে ৪৯১টি। তবে চিতাবাঘের মৃত্যুও বেশি ঘটেছে সেই চোরা শিকারিদের হাতে। এ ছাড়া রেল ও সড়ক দুর্ঘটনাতেও বহু চিতাবাঘ মারা গেছে।

সবচেয়ে বেশি বাঘ মারা গেছে মধ্যপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গে মারা গেছে ২৯টি।

ভারতে বাঘের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরাখন্ড, আসাম, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, রাজস্থান, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও মিজোরামে রয়েছে এসব বনাঞ্চল। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঘ রয়েছে উত্তরাখন্ডের করবেট বনাঞ্চলে। এখানে ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ২১৫টি। এরপর রয়েছে কর্ণাটকের বন্দিপুর বনাঞ্চলে, সেখানে বাঘের সংখ্যা ১২০। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আসামের কাজিরাঙ্গা, সেখানে বাঘ আছে ১০৩টি। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে রয়েছে ৬৮টি বাঘ। বাঘ সবচেয়ে কম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বনাঞ্চলে। এখানে বাঘের সংখ্যা ২টি। এরপর রয়েছে ওডিশার সাতকোশিয়া বনাঞ্চল, এখানে বাঘের সংখ্যা ৩টি। ছত্তিশগড়ের উদানীতি বনাঞ্চলে বাঘের সংখ্যা ৪টি।

ভারতের ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথোরিটি অব ইন্ডিয়ার এক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ভারতে বাঘ ছিল ১ হাজার ৪১১টি। ২০১০ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৭০৬। এরপর ২০১৪ সালে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ২ হাজার ২২৬। আর গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৬৭টি।