ট্রাম্পকে সোলাইমানির মেয়ের হুঁশিয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের 'অন্ধকার সময়' আসছে

কাসেম সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি। ছবি: এএফপি
কাসেম সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অন্ধকার সময়’ আসছে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাশেম সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি। বাবার জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

ইরাকে গত শুক্রবার মার্কিন হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানির নিহত হওয়ার পর ফুঁসছে গোটা ইরান। দেশটির নেতারা এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করলেও চুপ ছিল সোলাইমানির পরিবার। অবশেষে মুখ খুললেন সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব। ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, তাঁর বাবার মৃত্যুতে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ট্রাম্পের উদ্দেশো জয়নাব বলেছেন, ‘উন্মত্ত ট্রাম্প, ভাববেন না আমার বাবার শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়ে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।’ সোলাইমানির মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘অন্ধকার সময়’ বয়ে আনবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জয়নাব।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবার জানাজা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মার্কিনদের জন্য হুঁশিয়ারি বার্তাই শুনিয়েছেন জয়নাব। তিনি বলেছেন, ‘যেসব মার্কিন সেনা মধ্যপ্রাচ্যে আছেন, তাঁদের মা-বাবা নিজেদের সন্তানদের মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনবেন।’

সোলাইমানির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন যিনি, সেই ইসমাইল ঘানির কণ্ঠেও ছিল জয়নাবের মতো হুঁশিয়ারি। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় শহীদ সোলাইমানির দেখানো পথেই আমরা দৃঢ় পদক্ষেপ নেব। সোলাইমানির মৃত্যুর প্রতিদান হিসেবে এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে উৎখাত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

কাশেম সোলাইমানি
কাশেম সোলাইমানি

২৮ বছর বয়সী জয়নাবের আরও তিন ভাই ও এক বোন আছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার সোলাইমানিকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলা চালিয়ে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় সোলাইমানি ছাড়াও বেশ কয়েকজন নিহত হন। পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। সোলাইমানির মৃত্যুর ঘটনায় এরই মধ্যে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।