মোদির সরকারে নাৎসি শাসনের প্রতিধ্বনি: অভিজিৎ ব্যানার্জি

বরাবরই মোদি সরকারের কট্টর সমালোচক অভিজিৎ ব্যানার্জি। ছবি: রয়টার্স
বরাবরই মোদি সরকারের কট্টর সমালোচক অভিজিৎ ব্যানার্জি। ছবি: রয়টার্স

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) রোববারের হামলার ঘটনায় আসলে কী ছিল, সেই ‘সত্য প্রকাশে’ মোদির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। স্ক্রল ডট ইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জেএনইউর সাবেক শিক্ষার্থী অভিজিৎ বলেন, ‘আমি মনে করি যেকোনো ভারতীয়, যিনি বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবেন, তাঁর এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। এ ঘটনা সেই দিনগুলোরই প্রতিধ্বনি, যখন জার্মানি ক্রমে নাৎসি শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।’

বরাবরই মোদি সরকারের কট্টর সমালোচক অভিজিৎ। এর আগেও ভারত সরকারের অর্থনৈতিক নীতিগুলোর সমালোচনা করেছেন তিনি। অর্থনীতিকে মূল গতিতে ফিরিয়ে আনতে নানা রূপরেখাও তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়।

হোস্টেল ফি বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর এ ঘটনার দায় চাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের এক বিবৃতির জবাবে অভিজিৎ বলেন, প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল, সরকারকে সেই সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে যাওয়া উচিত হবে না।

এ সময় আহত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিজিৎ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাঞ্চা ইলিয়াহ শেফার্ডও জেএনইউয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে ইতিহাসে এই প্রথম প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে মুখোশধারী বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম হামলা চালাল। তিনি এ ঘটনার জন্য বিজেপির উসকানি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

গত রোববার সন্ধ্যায় ওই হামলা হয়। বিজেপির ছাত্রসংগঠন অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যরা ওই হামলা চালান বলে অভিযোগ আছে। হামলায় গুরুতর আহত হন ছাত্র সংসদের ভিপি বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ, অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কজন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক। আহত লোকজনকে দিল্লি এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে খবর শুনে ছুটে আসেন কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা এসে বলেছেন, ‘এ এক অসুস্থ সরকার, যারা নিজেদের সন্তানসম পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালাতে পারে।’

এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বিভিন্ন জায়গায় বের হয়েছে প্রতিবাদ ও ধিক্কার মিছিল।