মুখোশধারীদের হামলা: সরকারি কমিটি থেকে নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পদত্যাগ

ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর।
ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর।

ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় সরকারি একটি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর। গত রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।

অধ্যাপক চন্দ্রশেখর একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি জেএনইউর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সেন্টার ফর ইকোনমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ে কর্মরত আছেন। তিনি ইন্ডিয়া’স ইকোনমিক ডেটা কমিটির একজন সদস্য। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় গত মাসেই আর্থিক পরিসংখ্যান বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করে। পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের নেতৃত্বে ওই কমিটির কাজ বিভিন্ন অর্থনৈতিক তথ্য পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা। আগামীকাল বুধবার এই কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠকের আগের দিন তিনি পদত্যাগ করলেন।

পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক চন্দ্রশেখর লিখেছেন, ‘আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমার পক্ষে আগামীকালের সভায় যোগ দেওয়া সম্ভব না।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমি মনে করি না যে এই পরিবেশে কমিটি হারানো বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’ তিনি পদত্যাগপত্রে সরকারের পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে তথ্য-পরিসংখ্যান গড়বড় করে দেখানো হয়। কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তিনি বলেছেন, ‘সরকারি ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস আরও কমল। মনে হচ্ছে আমরা একটা আলাদা জগতে বাস করছি। যে সরকারের ওপর আপনি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করা খুব কঠিন।’ তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে ইন্ডিয়া’স ইকোনমিক ডেটা কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এটিকে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে তাঁর মত।

জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছাত্রসংগঠন এবিভিপিকে দায়ী করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হামলায় জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষসহ আহত হয়েছেন অনেকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঐশীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে আজ তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।