ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য 'থাপ্পড়ের সমান': খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স

ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘থাপ্পড়ের সমান’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরই গতকাল বুধবার এই মন্তব্য করেন খামেনি।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরানে দেওয়া এক বক্তৃতায় খামেনি বলেন, ‘গত রাতে (মঙ্গলবার) আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গালে থাপ্পড় মেরেছি। এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে।’

অনলাইনে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরাকের মিলিটারি বাহিনী জানিয়েছে, আইন আল-আসাদ ও এরবিলে অবস্থিত দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে অন্তত ২২টি ‘ব্যালিস্টিক মিসাইল’ ছোড়ে ইরান। এর মধ্যে আইন আল-আসাদের ঘাঁটি উদ্দেশ্য করে ছোড়া ১৭টি মিসাইলের দুটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। আর এরবিলের ক্যাম্পে ছোড়া হয় ৫টি মিসাইল।

গত মঙ্গলবার ইরানের কেরমান শহরে মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সোলাইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন খামেনি। নিহতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার শোক ও সমবেদনা রয়েছে। আমি নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

এদিকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে বলে যে দাবি করেছিল ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, সেটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে হোয়াইট হাউস থেকে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ইরানের হামলায় কোনো মার্কিন অথবা ইরাকির প্রাণহানি হয়নি। ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেবল। যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই ইরানের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাসের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল-গ্যাসের যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই। তারা এখনই তেল-গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষে আছে।