বিপন্ন পাখি শিকারের অনুমতি দিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টসহ রাজপরিবারের পাঁচজন সদস্যকে আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত হোবারা বাস্টার্ড পাখি শিকারের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টসহ রাজপরিবারের পাঁচজন সদস্যকে আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত হোবারা বাস্টার্ড পাখি শিকারের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টসহ রাজপরিবারের পাঁচজন সদস্যকে আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত হোবারা বাস্টার্ড পাখি শিকারের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। কিছুদিন পরই আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের ভাই আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের বৈঠকের কথা রয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে গতকাল বুধবার বলা হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগের উপপ্রধান মোহাম্মদ আদেল পারভেজ পাখি শিকারের অনুমোদনসংক্রান্ত কাগজপত্র ইসলামাবাদে আমিরাতের দূতাবাসে পৌঁছে দিয়েছেন। সেখান থেকে এ কাগজ আমিরাতে পাঠানো হবে।

এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে সৌদি রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স ফাহাদ বিন সুলতান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ অনুমোদনের সীমা লঙ্ঘন করে ১ হাজার ২০০টি হোবারা বাস্টার্ড পাখি শিকার করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এরপর থেকে পাকিস্তান সরকার অনেক দিন এ পাখি শিকারের অনুমতি দেয়নি।

মূলত, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মরু অঞ্চলে হোবারা বাস্টার্ড পাখির বাস। শীতে মধ্য এশিয়া পাড়ি দিয়ে পরিযায়ী এসব পাখি পাকিস্তানে আসে। এই পাখি শিকারের সুযোগ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে পাকিস্তান। পাখিটি প্রকৃতি সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের লাল তালিকায় আছে।

নতুন অনুমোদন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও পাঞ্জাব প্রদেশের শিকার অঞ্চলে পাখি শিকার করবেন। এ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে সিন্ধুর সুক্কুর, ঘোটকি ও নওয়াবশাহ; বেলুচিস্তানের পাঞ্জগুড়, খারান, ওয়াশুক ওরমারা, পসনি, গদার, যব ও সিবির লেহরি এবং পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান, রজনপুর ও চকবাল এলাকা। তাঁর ছোট ভাই আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার ও আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ তাঁর সঙ্গে একই এলাকায় শিকার করবেন।

দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত পাখি শিকারের এসব বিশেষ অনুমোদন একজনকেই দেওয়া হয়। তবে আমিরাতের প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে তাঁর ভাইসহ রাজপরিবারের পাঁচজনকে একসঙ্গে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে প্রেসিডেন্টের আরেক ভাই দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী শেখ সুলতান বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান সিন্ধুর খাইরপুর এলাকায় শিকার করবেন। তাঁদের আরেক ভাই ও আমিরাতের পশ্চিমাঞ্চলে শাসকের প্রতিনিধি শেখ হামদান বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান সিন্ধুর খাইরপুরের শাহদাৎকোট, খাইরপুর নাথান শাহ ও জোহি, দাদুর ফরিদাবাদ ও লারকানার ঘাইবি এলাকায় শিকারে যাবেন। রাজপরিবারের আরেক সদস্য শেখ সাইফ বিন মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান বেলুচিস্তানের লরালাই জেলার দুকি এলাকায় পাখি শিকার করবেন।