উড়োজাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত হয়নি: ইরান

ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান আলী আবেদজাদেহ দাবি করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়নি। ছবি: এএফপি
ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান আলী আবেদজাদেহ দাবি করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়নি। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেটি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান আলী আবেদজাদেহ। তিনি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়নি।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের দিক থেকে অভিযোগের আঙুল ওঠার পর রাজধানী তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছেন আলী আবেদজাদেহ। তিনি বলেছেন, ‘একটি বিষয় নিশ্চিত, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ওই উড়োজাহাজটি ভূপাতিত হয়নি।’

বিশেষজ্ঞ ছাড়া কারও এ বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয় বলেও মনে করেন আবেদজাদেহ, ‘উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স থেকে সঠিক তথ্য পাওয়ার আগে কারও তথ্যই বিশেষজ্ঞ মতামত হিসেবে গৃহীত হবে না।’ ধ্বংস হওয়া উড়োজাহাজটির ব্ল্যাকবক্স বোয়িং কর্তৃপক্ষ বা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফেরত দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে ইরান।

এদিকে ট্রুডো ও বরিস জনসনের পর অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরাসরি ইরানকে দোষারোপ না করলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ফেসবুকে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়োজাহাজের ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় তদন্তের ব্যাপারে আমি মাইক পম্পেওর সঙ্গে আলোচনা করব।’ পুরো ঘটনার ব্যাপারে যদি কোনো গোয়েন্দা তথ্য থেকে থাকে, তবে সেটি প্রকাশ করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটি গত বুধবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমিনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এতে উড়োজাহাজটির ১৭৬ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। ১৯৮৮ সালের পর এটিই ইরানের আকাশে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। সেবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইরানের একটি বিমানকে ভুলবশত গুলি করে ভূপাতিত করায় ২৯০ আরোহীর সবাই মারা যান।

ঘটনার পর জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছেন, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই উড়োজাহাজটি ধ্বংস হয়েছে। তাঁর কাছে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে বলেও দাবি করেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, দ্রুতগতির একটি জিনিস আকাশে নিক্ষেপের পরপরই বিস্ফোরণ হয়।