কলকাতায় মোদি, 'গো ব্যাক' ধ্বনি নগরজুড়ে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুদিনের সফর ঘিরে আজ শনিবার কলকাতাজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন কংগ্রেস, বাম দল ও এসইউসিআই সমর্থকেরা। সবার কণ্ঠে ছিল ‘গো ব্যাক মোদি’ ধ্বনি। আর হাতে ছিল কালো পতাকা।
আজ বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে রাজ্যপালের বাসভবনে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির। তবে ব্যাপক বিক্ষোভের আশঙ্কায় তাঁর যাত্রাপথ পরিবর্তন করে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় রেসকোর্স ময়দানে। সেখান থেকে তিনি চলে যান রাজ্যপালের বাসভবন রাজভবনে। সেখানেই আজ বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে মোদি প্রথম বৈঠক করেন। সন্ধ্যার পর যাবেন ঐতিহাসিক হাওড়া সেতুর কাছে মিলেনিয়াম পার্কে। এই পার্ক থেকে তিনি হাওড়া সেতুর আলো ও ধ্বনি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরপর যাবেন ঠাকুর রামকষ্ণৃ দেব ও স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিবাহী বেলুড় মঠে।
কাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মোদি যোগ দেবেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তি উৎসবে। এই অনুষ্ঠান হবে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। সেখানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মমতার। সেখানের অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের দিকে তিনি ফিরে যাবেন রাজধানী দিল্লিতে।
এদিকে মোদির কলকাতা সফরের প্রতিবাদে আজ কলকাতা ও হাওড়াজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। আরও অংশ নেন কংগ্রেস এবং বাম দলের সমর্থকেরা। ‘মানছি না, মানি না, মানব না সিএএ, এনআরসি’ বা ‘এনপিআর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, নইলে দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলবে’—স্লোগানও শোনা যায় বিভিন্ন মিছিলে।
আজ যাদবপুরে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা মোদির কুশপুতুল দাহ করেন। বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর, ধর্মতলা, কলেজ স্কয়ার, নন্দন চত্বর, চিনার পার্ক, কলেজ স্ট্রিট, যাদবপুর, হাতিবাগান, গোলপার্ক, এয়ারপোর্ট ১ ও ২.৫ নম্বর গেট, কৈখালী, রাজভবন গেট, হাওড়াসহ বিভিন্ন স্থানে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে কলকাতা থেকে মোদিকে ফিরে যাওয়ার ধ্বনি দেন। আজ অনেক জায়গায় কালো বেলুন উড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেগুলোতেও লেখা ছিল ‘গো ব্যাক মোদি’।