মুখোমুখি হচ্ছেন রানি-হ্যারি

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স হ্যারি। ছবি: রয়টার্স
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স হ্যারি। ছবি: রয়টার্স

ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আকস্মিক ঘোষণায় যুক্তরাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সংকট নিরসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শেষ পর্যন্ত সরাসরি আলোচনার পথই বেছে নিয়েছেন। প্রিন্স হ্যারিকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছেন। আজ সোমবার ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টিতে সার্ডিংহাম প্রাসাদে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজপরিবারের কর্মকর্তারা বলেছেন, সার্ডিংহাম প্রাসাদটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যক্তিগত বাড়ি। তাঁর বাবা ষষ্ঠ জর্জ ও দাদা পঞ্চম জর্জ ওই বাড়িতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। এই প্রাসাদেই নাতি প্রিন্স হ্যারির মুখোমুখি হবেন রানি। এ সময় উপস্থিত থাকবেন হ্যারির বাবা ও রানির ছেলে প্রিন্স চার্লস এবং হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম। এ ছাড়া কানাডা থেকে টেলিফোনে আলোচনায় যোগ দেবেন হ্যারির স্ত্রী সাবেক অভিনেত্রী মেগান। রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মেগান কানাডায় ছেলে আর্চির কাছে গেছেন।

২০১৮ সালের মে মাসে হ্যারি ও মেগানের বিয়ে হয়। এর এক বছরের মাথায় ছেলে আর্চির জন্ম। এই দম্পতিকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে অনেক সময় নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ভিন্ন দেশের ও শ্বেতাঙ্গ না হওয়ায় নানা ধরনের নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে মেগান মার্কেলকে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি নিয়েও বিরক্ত হ্যারি-মেগান। গত বুধবার তাঁরা রাজকীয় দায়িত্ব কমিয়ে এনে নতুন জীবন শুরুর ঘোষণা দেন। তাঁরা উত্তর আমেরিকায় আরও বেশি সময় কাটানোর এবং আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। এতে রানি ও রাজপরিবারের সদস্যরা মর্মাহত হন। বলা হচ্ছে, রানির অবাধ্য হয়ে প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ রাজপরিবারে যে সংকট তৈরি করেছেন, তা দুই মহাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। রানি যত দ্রুত সম্ভব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ীই আজ আলোচনা হতে চলেছে।

বিবিসির রাজপরিবারের সংবাদদাতা জনি ডায়মন্ড বলেন, রানির ইচ্ছার সঙ্গে সংগতি রেখে রাজপরিবারের সঙ্গে হ্যারি-মেগান দম্পতির সম্পর্ক ভবিষ্যতে কেমন হবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এই সাংবাদিক।

হ্যারি ও মেগান কেন রাজপরিবারের আরাম-আয়েশি জীবন ছেড়ে যাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, তাঁরা স্বাধীনভাবে জীবনযাপন ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারেন। ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চিন্তাভাবনাও আছে তাঁদের। ব্র্যান্ড বিশেষজ্ঞ ও হলিউড পর্যবেক্ষকেরা এমনটাই বলছেন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।