কাশ্মীর ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এএফপি ফাইল ছবি
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এএফপি ফাইল ছবি

কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বুধবার রাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বিতীয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। চীনের চাপের মুখে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের তাগিদে এমন বৈঠক গত বছরের আগস্ট মাসেও অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পরই এমন বৈঠকের আহ্বান করা হলো।

ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিতর্কিত বিষয়ে দিল্লির অবস্থানকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অবশ্য এতে সমর্থন নেই অপর শক্তিশালী স্থায়ী সদস্যদেশ চীনের।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জম্মু ও কাশ্মীর উন্নয়নের বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ। আর ফ্রান্সের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, কাশ্মীর ইস্যু অবশ্যই দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান হবে। তবে এটা পরিষ্কার যে ফ্রান্সের অবস্থান অপরিবর্তিত ও খুবই স্বচ্ছ। সূত্রটি বলছে, ‘যেহেতু আমরা বেশ কিছু অনুষ্ঠানে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও আমাদের সেই বক্তব্য অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে অন্য আরও অনেক দেশ ভারতের অবস্থানকে অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে। তবে দেশগুলো জম্মু ও কাশ্মীরের নেতাদের আটক রাখা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রও এসব উদ্বেগের বিষয় প্রকাশ করেছে।

যেহেতু রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকটি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশগুলোর। ফলে ভারত ও পাকিস্তানের বৈঠকে অংশ নেওয়া হচ্ছে না। বৈঠকটি অনানুষ্ঠানিক প্রকৃতির, আর তাই বৈঠক শেষে বিবৃতিও দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করার ঘোষণা দেয় বিজেপি সরকার। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। আর ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা অনুমোদন করেছে সংসদ, যাতে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।