রাজ্য সরকার ভেঙে দিক, তবু এনআরসি নয়: মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার কলকাতার ধর্মতলার রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সভায় বক্তব্য দেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার কলকাতার ধর্মতলার রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সভায় বক্তব্য দেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাঁর রাজ্য সরকার ভেঙে দিতে চায়, দিতে পারে। তবুও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) মানবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘সিএএ এবং এনআরসি মানা হবে না। মানছি না, মানব না। এই আইন করতে হবে বাতিল।’

তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সভায় মমতা এসব কথা বলেন। বুধবার কলকাতার ধর্মতলার রাণী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে এ সভা হয়। এখানে মঞ্চ বানিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এনআরসির ও সিএএর বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। সেই কর্মসূচিতে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষজন এসে একাত্মতা ঘোষণা করছেন।

এই অবস্থান মঞ্চে যোগ দিয়ে মমতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ঘোষণা দিলাম, এই রাজ্যে মানা হবে না জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা এনপিআর। ওরা কেন্দ্রে যেমন নির্বাচিত সরকার, তেমনি আমরাও এই রাজ্যের নির্বাচিত সরকার। আমরাও ভোটে জিতে এসেছি। আমরা মানব না ওদের নির্দেশ। এ রাজ্যে মানা হবে না এনপিআর। এ জন্য ওরা যদি এই রাজ্যের সরকার ভেঙে দিতে চায়, দিক না। তবুও আমরা মানব না কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।’

মমতা বলেন, ‘প্রয়োজনে তৃণমূল একাই লড়ে যাবে। তবুও ওদের কাছে হার মানব না। যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে এই এনপিআরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সব থানায় মামলা হচ্ছে
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি গত রোববার নদীয়ার রানাঘাটে আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকারীদের গুলি করে মারার ফতোয়া দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে উত্তর প্রদেশ, আসাম ও কর্ণাটকের ন্যায় আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হবে। এই হুমকির পর ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস রানাঘাট ও হাবড়ায় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছে।

সিপিএমের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (ডিওয়াইএফআই) গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আজ বৃহস্পতিবার এবং কাল শুক্রবার রাজ্যের প্রতিটি থানায় দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন জানাবে। তারা অভিযোগ করে, দিলীপ ঘোষ একজন সাংসদ হলেও দুষ্কৃতকরীদের ভাষায় কথা বলেন। এটা হতে পারে না। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিওয়াইএফআই।