ইরানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নতুন ভিডিও প্রকাশ

ইরানের তেহরানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের উড়োজাহাজের অংশবিশেষ। ছবি: রয়টার্স
ইরানের তেহরানে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের উড়োজাহাজের অংশবিশেষ। ছবি: রয়টার্স

ইরানের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নতুন ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার এই ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি নিক্ষেপ করা হয়। প্রথম আঘাতেই উড়োজাহাজটি বিকল হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় ভূপাতিত উড়োজাহাজটির সংকেত গ্রহণ ও প্রেরণ যন্ত্রটি (ট্রান্সপন্ডার) অকেজো হয়ে যায়। ইরানের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে চার মাইল দূরে বিদকিনে নামক গ্রামের এক ভবনের ছাদ থেকে ওই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ভিডিও ফুটেজে আগুন ধরা অবস্থায় উড়োজাহাজটিকে কয়েক মিনিট উড়তে দেখা যায়। এরপর সেটি ভূপাতিত হয় এবং বিস্ফোরণ ঘটে। এর আগে গত শুক্রবার একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছিল। ওই ভিডিওতে উড়োজাহাজে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে দেখা যায়।

৮ জানুয়ারি তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরপরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী, ক্রুসহ ১৭৬ নিহত হন। তেহরানে ওই উড়োজাহাজ ভূপতিত হওয়া পর বিবিসির খবরে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস সংস্থার মালিকানাধীন উড়োজাহাজটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যাচ্ছিল। শুরুতে অস্বীকার করলেও ঘটনার দুদিন পর ইরান স্বীকার করে যে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ভুল করে ওই উড়োজাহাজে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এ ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ইরান।

এদিকে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, উড়োজাহাজ বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়ী প্রত্যেককে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বা দোষী ব্যক্তি যেকোনো পর্যায়ের হোক না কেন, তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দোষী ব্যক্তি যে-কারও শাস্তি হওয়া উচিত এবং অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।’