নতুন অস্ত্র বিএএ ও এনআরবি নিয়ে মাঠে বামপন্থী ছাত্র-যুবকেরা

ডিওয়াইএফআইয়ের লোগো
ডিওয়াইএফআইয়ের লোগো

জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলনের মধ্যে এবার নতুন এক অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে বামপন্থী সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। তাদের দাবি, দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ বাতিল করে চালু করতে হবে দেশজুড়ে বে-রোজগারি বিলোপ আইন বা বিএএ । জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন বা এনআরসি বাতিল করে চালু করতে হবে এনআরবি বা জাতীয় বেকারপঞ্জি আইন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই দেশজুড়ে বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে। আন্দোলনে মাসিক বেকার ভাতা প্রদানের দাবি জানায় তারা। দেশের বেকার সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য এনআরসির পরিবর্তে এনআরবি চালুর দাবি জানায় তারা।

বামপন্থী ছাত্র-যুবকেরা বেকার যুবকদের কাছ থেকে মতামত জানতে এনআরবি ও বিএএর পক্ষে একটি ফরম বিতরণ শুরু করেছে। ৩০ লাখ আবেদনপত্র ছাপানো হয়েছে। অনলাইনেও এই ফরম পূরণের ব্যবস্থা করেছে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র পূরণ করা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এই সব ফরম নিয়ে অবস্থান ধর্মঘটে বসবেন বামপন্থী ছাত্র-যুবকেরা। তারপর এই ফরম ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আবেদনপত্রে বেকারের নাম, বয়স, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফোন নম্বর, তাঁরা সরকারি না বেসরকারি কোন ধরনের চাকরি চান, বেকারদের জন্য প্রস্তাবিত ৬ হাজার রুপি বেকার ভাতা প্রদানের প্রস্তাবটি তাঁরা সমর্থন করেন কি না?—এসব জানতে চাওয়া হয়েছে।

ডিওয়াইএফআইর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশে ভালো দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেই দিন আনতে পারেনি। উল্টো প্রতিদিন কর্মসংস্থান কমছে, নতুন কর্মসংস্থান নেই, বেকারত্ব বাড়ছে, বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। ৪৫ বছরের মধ্যে এ বছর বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। দেশের জিডিপি তলানিতে ঠেকেছে। তাই আমরা চাইছি সিএএ বাতিল করে চালু করা হোক বিএএ এবং এনআরসি বাতিল করে চালু করা হোক এনআরবি।’