মিয়ানমার সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট চিনপিং

সি চিন পিং
সি চিন পিং

দুই দিনের সফরে মিয়ানমার পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। শুক্রবার তিনি মিয়ানমারে পৌঁছান। এটি সি চিনপিংয়ের প্রথম ও ১৯ বছর পর চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের মিয়ানমার সফর।

চীনের প্রেসিডেন্টের মিয়ানমার সফর সমানতালে বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

চিনপিং এমন সময় মিয়ানমার সফরে গেলেন যখন চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর ও রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতনের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে সমালোচিত। তবে চিনপিংয়ের এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হবে কিনা তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চিনপিং তাঁর সফরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিনত ও সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁদের এই বৈঠকে মিয়ানমারের বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সীমান্তে বঙ্গোপসাগরে ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ (চামসু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল), পোশাক ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলার বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। শুক্রবার স্বাগত অনুষ্ঠান ও নৈশ ভোজ আর মূল বৈঠকগুলো শনিবার হবে বলে জানানো হয়।

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে ৭০ বছরের দীর্ঘ বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই চিনপিং এর এই সফর দেশ দুটির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার মামলার পর মিয়ানমার চীনের সঙ্গে আরও সম্পর্ক জোরদার করতে থাকে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বাস্তুচ্যুত করার সময়ও চীনের ভূমিকা ছিল কার্যত মিয়ানমারের পক্ষেই। আর ভারত বিশেষ করে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়ে চিনপিংয়ের এই সফরের দিকে নজর রাখছে।

এএফপির প্রতিবেদন বলা হয়, মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব যুক্তি হতে যাচ্ছে তার সবই হবে চীনের গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে। এই গভীর সমুদ্র বন্দর ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে মিয়ানমারের চেহারা বদলে যেতে পারে।