জম্মু ও কাশ্মীরে শর্তাধীন ইন্টারনেট সেবা চালু

গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। ছবি: এএফপি
গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। ছবি: এএফপি

নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় ছয় মাস পর শর্তসাপেক্ষে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগ চালু হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন আজ শনিবার থেকে অঞ্চলটিতে আংশিকভাবে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ থেকেই যাচ্ছে। শুধু ‘সাদা তালিকাভুক্ত’ ওয়েবসাইটগুলো ইন্টারনেট সুবিধা পাবে। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

প্রশাসনের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটির উদ্ধৃতি দিয়ে আজ শনিবার এনডিটিভি অনলাইনে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হলেও তা হবে ধীরগতির দ্বিতীয় প্রজন্মের (২-জি) প্রযুক্তির। ডেটা সেবা প্রি-পেইডের পাশাপাশি পোস্ট-পেইড সিমকার্ডেও থাকবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়টি ৩১ জানুয়ারি আবারও পর্যালোচনা করা হবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিভক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় বিক্ষোভের আশঙ্কায় কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণে বাড়তি সেনা মোতায়েন করে। রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করা হয় এবং পর্যটকদের কাশ্মীর ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার কিছু কিছু বিভিন্ন ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের স্বরাষ্ট্র বিভাগ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু বিধিনিষেধ জারি থাকা অবস্থায় মোবাইল ডেটা সেবা ও ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) থেকে তা কার্যকর হবে। এটা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যদি না আগে আর কোনো পরিবর্তন হয়।

জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে আসছিল বিভিন্ন দেশে অধিকারকর্মী ও সংস্থাগুলো। এই মাসের শুরুতে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি দ্রুত পর্যালোচনার নির্দেশ দিলে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়, স্বাধীন চলাচল, ইন্টারনেট ও মৌলিক স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ ক্ষমতার বিধিসম্মত চর্চা হতে পারে না। ইন্টারনেট সংযোগ হচ্ছে ব্যক্তির স্বাধীনভাবে কথা বলা ও মতপ্রকাশের অধিকার।