ইমরান খানের হাসি ও শরীরী ভাষায় মজেছেন নারী মন্ত্রী

পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী জারতাজ গুল ওয়াজির। ছবি: টুইটার
পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী জারতাজ গুল ওয়াজির। ছবি: টুইটার

ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই সুদর্শন ইমরান খানের প্রেমে মজেছেন অনেক নারী। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ ও পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ইমরান খান। দেশকে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতানোয় তাঁর ভক্ত-সমর্থকও অনেক। এবার সেই প্রধানমন্ত্রীর অর্ধেক বয়সী এক নারী তাঁর ওপর ফিদা হয়েছেন। তিনি মজেছেন ইমরান খানের হাসিতে। ওই মন্ত্রী ইমরানের শরীরী ভাষায়ও মুগ্ধ।

জিও নিউজ ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী জারতাজ গুল ওয়াজির ইমরান খানের হাসি ও শরীরী ভাষায় মুগ্ধ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইমরান খানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

সম্প্রতি জারতাজ গুল ওয়াজির একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে কোনো রাখঢাক না করেই ইমরান খানের নানান গুণের প্রশংসা করেন তিনি। ইমরানে মুগ্ধতার কথা বলা সাক্ষাৎকারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে।

৩৫ বছর বয়সী জারতাজ গুল ওয়াজির বলেন, ‘আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শরীরী ভাষা নিয়ে কথা বলতে চান, তবে আমি মনে করি তিনি অন্যতম সেরা। তিনি একজন ক্যারিশমাটিক মানুষ।’

মন্ত্রিসভার সদস্য জারতাজ গুল ওয়াজির বলেন, ‘যখন কোনো সমস্যা তৈরি হয় বা আমরা সমস্যায় পড়ি, হয়তো কোনো ঘরে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করছি, তখনই ঘরে ঢুকে তাঁর (ইমরান) “খুনে হাসি”তে আর ক্যারিশমায় আমাদের সমস্যার অনেকখানি মিটে যায়।’

তবে মন্ত্রীর এ সাক্ষাৎকার নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন। টুইটার ও ফেসবুকে এই মন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অনেকেই।

একজন টুইট করে বলেছেন, জারতাজ গুল ওয়াজির পুরো বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ একজন নারী মন্ত্রী। কাজ দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পেরে এমন পন্থা নেওয়া হয়েছে। আরেকজনের টুইট, ‘আপনার প্রধানমন্ত্রীকে মডেল করেন। আমার মনে হয়, উনি সালমান খানের মতো বলিউডি ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারেন। আর আমার ধারণা এ সম্পর্কে আমি খুব একটা ভুল বলিনি।’

জারতাজ গুল ওয়াজির ইমরান খানের হাসি ও শরীরী ভাষায় মুগ্ধ। ছবি: টুইটার
জারতাজ গুল ওয়াজির ইমরান খানের হাসি ও শরীরী ভাষায় মুগ্ধ। ছবি: টুইটার

অপর একজন মন্ত্রী জারতাজ গুল ওয়াজিরের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হায় হ্যান্ডসাম। বলেন, আপনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর কী কী চান?’

সমালোচনাকারীরা বলছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। আটা-ময়দা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ রুপিতে। কিন্তু দেশের মন্ত্রীরা এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ। তাঁরা ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী হাসি নিয়ে।