সিএএ বাতিলের দাবিতে মুর্শিদাবাদে ডাকা হরতাল পালনের সময় হামলা, নিহত ২

নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল ভারত। ফাইল ছবি
নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল ভারত। ফাইল ছবি

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় ডাকা হরতাল পালনের সময় হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার জেলার জলঙ্গী থানায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন আনোয়ারুল বিশ্বাস ও মকবুল শেখ। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মিজানুর রহমান, আলাউদ্দিন শেখসহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী থানায় হরতাল ডেকেছিল নাগরিক মঞ্চ নামের স্থানীয় একটি সংগঠন। আন্দোলনকারীরা বিহারের জেহানাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও ছাত্রনেতা শারজিল ইমামের মুক্তির দাবি করেন। একই সঙ্গে শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগকে ধিক্কার জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হরতাল চলাকালে জলঙ্গী থানার সাহেবনগর বাজারে একদল দুর্বৃত্ত তিনটি গাড়িতে এসে হরতাল পালনকারীদের ওপর হামলা চালায় এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল ও গাড়িতে আগুন লাগায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই এলাকার ওই দুজন নিহত হন।

নিহত ওই দুই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, জলঙ্গীর তৃণমূল নেতা তহির উদ্দিন শেখের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েতপ্রধান।

তৃণমূল কংগ্রেস দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কংগ্রেস ও সিপিএম। কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী পাল্টা বলেছেন, নিহত দুই ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী দাবি, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তহিরুদ্দিন শেখ। তিনি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন। একই কথা বলেছেন কংগ্রেসের স্থানীয় ইউনিয়ন সভাপতি রাজ্জাক মোল্লা।

এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিএম নেতা ও সাবেক সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘এই রাজ্যে তো জেলা প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন বলতে কিছু নেই। আছে শুধু শাসক দলের বাহিনীর তাণ্ডব।’

এদিকে বিজেপি নেতা ও রাজ্যের সাবেক সভাপতি রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘এই রাজ্যের মানুষ তো জানে, তৃণমূল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে রাজ্যে কত মানুষের প্রাণ গেছে। আজ যে দুজন মারা গেছে, তারা এলাকার সাধারণ মানুষ।’