চীন থেকে ফিরছেন জার্মান নাগরিকেরা

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

জার্মান সরকার চীনে বসবাসরত তার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী শনিবার জার্মান সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে ১২০ নাগরিককে প্রাথমিকভাবে ফিরিয়ে আনা হবে। চীনে করোনাভাইরাসের বিস্তার আরও আগ্রাসী হওয়ায় জার্মান সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়।

ইতিমধ্যে চীনে ৭ হাজার ৭০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর ১৭০ জন এই ভাইরাসে মারা গেছেন। চলতি সপ্তাহে জার্মানিতে মোটরকারখানার চার শ্রমিক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হয়। তবে পরীক্ষা করে এখন পর্যন্ত তাঁদের শরীরে এই ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

ইউরোপের বিভিন্ন বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই চীন অভিমুখে তাদের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। জার্মানির বিমান সংস্থা লুফথানসা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীন অভিমুখে সকল ফ্লাইট স্থগিত করেছে। চীনে অবস্থিত জার্মানির বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জার্মানির বিখ্যাত মোটর কোম্পানি বিএমডব্লিউ চীনের সাংহাই শহরে তাদের তিনটি সংযোজন কারখানা আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

চীনে কার্যরত জার্মানি প্রতিষ্ঠান মেট্রো, লিনডে, ভেবাস্টোতে কর্মরতদের শনিবার ফেরত আনা হবে। ইতিমধ্যে যে চার জার্মান নাগরিককে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়েছে, তাঁরা ভেবাস্টো মোটর প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। চীন থেকে আগত সহকর্মীদের কাছ থেকে তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল।

শনিবার চীন থেকে জার্মানের সেসব নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হবে, এখনো যাঁদের শরীরে এই ভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই, তাঁদের। তবে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, যেসব চীনা জার্মানে বসবাস করেন, তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানিতে আসতে চীন অনুমোদন দেবে কি না। চীন কর্তৃপক্ষ কেবল জার্মান নাগরিকদের দেশ ছাড়বার কথা বলেছে। চীনা নাগরিকদের স্বজনের সংখ্যা প্রায় ৯০।

জার্মানির পাশের দেশ বেলজিয়ামের কিছু নাগরিককেও ফিরিয়ে আনা হবে। চীন অভিমুখে যাওয়া ওই উড়োজাহাজে জার্মান সরকার শুভেচ্ছাস্বরূপ শ্বাসপ্রশ্বাসের মুখোশ ও প্রতিরক্ষামূলক স্যুট পাঠাচ্ছে।

এদিকে ইতালির রোম থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে সিভিটাভেচিয়া শহরের বন্দরে একটি বৃহৎ অবসরযাপন জাহাজের কয়েক হাজার যাত্রীকে জাহাজ থেকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। জাহাজটিতে ম্যাকাউ থেকে আসা এক দম্পতির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব অবসরযাপন করা যাত্রীর করোনাভাইরাসের লক্ষণ আছে কি না, তা নিশ্চিত হয়ে নামার অনুমতি দেওয়া হবে।