হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে দ্রুত এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ

ভারতের কলকাতায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক ‘বাংলা ইন্টারভেনশনাল থেরাপিউটিক্স-২০২০’ বা বিআইটি সম্মেলন। প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
ভারতের কলকাতায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক ‘বাংলা ইন্টারভেনশনাল থেরাপিউটিক্স-২০২০’ বা বিআইটি সম্মেলন। প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের কলকাতায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী হৃদরোগবিষয়ক ‘বাংলা ইন্টারভেনশনাল থেরাপিউটিকস-২০২০’ বা বিআইটি সম্মেলন। কলকাতার উপশহর রাজারহাটের একটি অভিজাত হোটেলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন হয় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায়।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিট–এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফজালুর রহমান এবং ভারতের প্রখ্যাত ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক রবীন চক্রবর্তীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন। প্রদীপ জ্বালিয়ে এর উদ্বোধন করেন কলকাতায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার নিক ল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক শুভানন রায়, ধীমান কাহালি, মোমেনউদ্দিন জামান প্রমুখ।

সম্মেলনে অধ্যাপক আফজালুর রহমান বলেন, হৃদরোগ নিয়ে আর কোনো ভয় নেই। চিকিৎসায়ও আরও উন্নতি হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে চলছে হৃদরোগ চিকিৎসা। আর বাংলাদেশও এখন এই চিকিৎসায় দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি চালু হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও এগিয়ে এসেছে। সহায়তা করছে হৃদরোগ চিকিৎসায়। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর বাংলাদেশের হৃদরোগীদের বিদেশে পাড়ি দিতে হবে না। সর্বাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা এখন আমাদের রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালেও এই রোগের সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা এবং অপারেশন হচ্ছে।’

প্রধান অতিথির ভাষণে ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার নিক ল বলেন, ‘আমি খুব খুশি হয়েছি এই সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে। বাংলাদেশ এখন এই হৃদরোগ চিকিৎসায় অসামান্য সফলতা পেয়েছে। বাংলাদেশের রোগীরা এখন নিজের দেশে পাচ্ছে এই চিকিৎসা। বাংলাদেশ হৃদরোগ চিকিৎসায় আরও এগিয়ে যাক, সেই প্রার্থনা করছি।’

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বাংলাদেশ যে হৃদরোগ চিকিৎসায় এখন অনেক এগিয়ে গেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন অপারেশনের জন্য মানুষ খুব কমই বিদেশে পাড়ি জমায়।

এই সম্মেলনে ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছেন ১২০ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক। আর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেপালসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ৬০০ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। যোগ দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসক সংযোগ কারলা, জন জর্জ, আরেফ রহমান, বিকাশ আগরওয়াল ও প্রশান্ত কাউল। এসব চিকিৎসক হৃদরোগ নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন, তথ্যের আদানপ্রদান, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ব্যবহারিক কর্মশালায় কথা বলছেন এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন। এই সম্মেলন চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

বিআইটির প্রথম সম্মেলন হয় ২০১১ সালে বাংলাদেশে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর আয়োজিত হচ্ছে এই সম্মেলন।