চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। ছবি: রয়টার্স

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি ফিলিপাইনে মারা গেছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম চীনের বাইরে অন্য কোনো দেশে কারও মৃত্যু হলো।

ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ বলেছে, যে ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাঁর বয়স ৪৪। তিনি চীনের নাগরিক। তাঁর বাড়ি চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, উহান থেকে ফিলিপাইনে আসার পর চীনের ওই নাগরিক মারা গেছেন। তিনি ফিলিপাইনে আসার আগেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ওই ব্যক্তি উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপাইনে এসেছিলেন। তাঁকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। ভালোর লক্ষণও দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়।

প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর। চীনে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে চীনের বিভিন্ন শহর ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় দেশটি ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন।

যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এই ভাইরাস এখন দুই ডজনের বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে নতুন কেউ যেন আক্রান্ত না হয়, সে জন্য তাদের একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সরকারগুলো।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও।