করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ বাড়ছে, হচ্ছে নতুন হাসপাতাল

মাত্র আট দিনে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। ছবি: রয়টার্স
মাত্র আট দিনে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। ছবি: রয়টার্স

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা দিতে নতুন আরেকটি হাসপাতাল চালু হচ্ছে। গতকাল রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন হুওশেনশান হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার এটি চালু হবে।

মাত্র ৮ দিনে ১ হাজার শয্যার এই হাসপাতাল তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রামক রোগের বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ১ হাজার ৪০০ চিকিৎসা-কর্মী নতুন হাসপাতালে যোগ দিতে উহানে পৌঁছেছেন। এটিসহ দুটি হাসপাতাল পুরোপুরি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার আরেকটি হাসপাতাল চালুর কথা।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত চীন। হাসপাতালগুলো রোগীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে চীনের বিভিন্ন শহর ভুতুড়ে নগরে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সে দেশে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার তালিকা ক্রমে দীর্ঘ হচ্ছে। এতে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন।

যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এই ভাইরাস এখন দুই ডজনের বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের বাইরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইনে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।। ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ বলছে, যে ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাঁর বয়স ৪৪। তিনি চীনের নাগরিক। তাঁর বাড়ি চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, উহান থেকে ফিলিপাইনে আসার পর চীনের ওই নাগরিক মারা গেছেন। তিনি ফিলিপাইনে আসার আগেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ওই ব্যক্তি উহান থেকে হংকং হয়ে ফিলিপাইনে এসেছিলেন। তাঁকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

চীনের সঙ্গে সীমানা পুরোপুরি বন্ধ না করা হলে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন হংকংয়ের হাসপাতালের কর্মীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী বন্ধ করার পরিবর্তে সীমান্তে স্ক্রিনিংয়ের কথা উল্লেখ করে। তবে এই অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ এটি করতে অস্বীকার করেছে।