০২.০২.২০২০ - হাজার বছর পর আসবে এমন এক দিন
গতকাল রোববার ২ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ০২.০২.২০২০ তারিখটি ছড়িয়ে পড়েছিল। আশ্চর্য এ তারিখের সাক্ষী ছিল কোটি কোটি মানুষ। আর এমন ঘটনার জন্য বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক হাজার বছর।
২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মানুষ সাক্ষী রইল প্যালিনড্রমের। রোববার এই তারিখ (০২.০২.২০২০)–সংক্রান্ত আট সংখ্যার পোস্ট ফেসবুক, টুইটারে অনেকেই শেয়ার করেছিলেন। এই তারিখ সামনে থেকে বা পেছন থেকে দেখলে বা পড়লে একই থাকে। ফলে দিন–মাস–বছর বা বছর–মাস–দিন যা–ই লেখা হোক না কেন, যেকোনো দিক থেকেই তা একই থাকে।
অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুসারে, প্যালিনড্রোম এমন একটি শব্দ, শব্দগুচ্ছ বা ক্রম, যা সামনের দিকে পেছনের দিকে এবং পেছনের দিকে থেকে সামনের দিকে একই থাকে।
মূলত সংখ্যা নিয়ে যাঁদের আগ্রহ অনেক বা যাঁরা এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁদের কাছে প্যালিনড্রম সাধারণ একটি ব্যাপার। এর আগে শেষ প্যালিনড্রম তারিখ ছিল ৯০০ বছর আগে, ১১.১১.১১১১। আর এরপর এল গতকাল রোববার ২ ফেব্রুয়ারি।
আপাতত হাজার বছরের আগে ক্যালেন্ডারে এমন অদ্ভুত সংখ্যা আর আসবে না। তবে ৩০৩০ সালের ৩ মার্চে আবার দেখা যাবে এ প্যালিনড্রম।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আজিজ ইনান জানিয়েছেন, এ শতাব্দীতে মাত্র ১২টি আট অঙ্কের প্যালিনড্রম রয়েছে। এই প্যালিনড্রম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ প্যালিনড্রমাস থেকে। এর মানে দ্বিমুখী শব্দ। অঙ্কের দুনিয়াতে এ–জাতীয় সংখ্যার অভাব নেই। তবে ক্যালেন্ডারের হিসাবে দেখতে গেলে এখনো অপেক্ষা করতে হবে অনেক বছর।
পোর্টল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আজিজ ইনান বলেন, ‘আমরা খুবই ভাগ্যবান, কারণ এই আট সংখ্যা (০২.০২.২০২০) আমাদের জীবনভর দেখা মিলবে না। কারণ এটি বিরল ঘটনা। তবে সেম্মিট্রিক্যাল সংখ্যা বা সাত সংখ্যার দেখা কিন্তু হরহামেশাই মেলে; যেমন ১-১০-২০১১ অথবা ৯-১০-১৯।’
আজিজ ইনান বলেন, আপনারা ধাঁধার মতো অনেক দিন তারিখ দেখতে পাবেন। যেমন বর্গ গুনে ৩.৩.৯, পারস্পরিক বা ক্রমানুসারের ১১.১২.১৩-র মতো পাবেন। কিন্তু আট সংখ্যার ০৩.০৩.৩০৩০ দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ১ হাজার বছরের বেশি। তথ্যসূত্র: ইউএসএ টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমস