মৈত্রী ও বন্ধন ট্রেনের যাত্রার সংখ্যা এক দিন বাড়ল

বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন। ফাইল ছবি
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন। ফাইল ছবি

ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা সপ্তাহে আরও একদিন বাড়ানো হলো। এখন এই ট্রেন যাত্রা সপ্তাহে চার দিন থাকলেও তা বেড়ে হয়েছে ৫ দিন।

পাশাপাশি খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাও বাড়ানো হয়েছে একদিন। এত দিন ট্রেনটি সপ্তাহে মাত্র একদিন চলতো খুলনা-কলকাতার মধ্যে। প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে বেনাপোল হয়ে খুলনায় পৌঁছাত দুপুর ১২টায়। আবার ওই দিনই দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে খুলনা থেকে ট্রেনটি ছেড়ে কলকাতায় পৌঁছাত সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। এবার এই ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে দুই দিন, বৃহস্পতিবার ও রোববার।

ভারতের পূর্ব রেল নতুন করে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আকারে। এতে বলা হয়েছে, মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন যাত্রার টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে।

প্রসঙ্গত, খুলনা-কলকাতার দূরত্ব হলো ১৭২ কিলোমিটার। আর ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার।

মৈত্রী এক্সপ্রেস চলত সপ্তাহে চার দিন করে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে। কলকাতা থেকে এই ট্রেন ছাড়ত নির্ধারিত দিনে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। মৈত্রীর যাত্রাও বাড়ানো হয়েছে একদিন। ফলে এটি চলবে এখন ৫ দিন। ঢাকা থেকে মঙ্গলবার আর কলকাতা থেকে বুধবার। ফলে এখন এই ট্রেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চলবে ৫ দিন। শুক্র, শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার। আর কলকাতার চিৎপুর এলাকার কলকাতা স্টেশন থেকে চলবে শুক্র, শনি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার।

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে এই মৈত্রী ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। আর এই যাত্রার সূচনা করেছিলেন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। দীর্ঘ ৪৩ বছর পর বাংলাদেশের সঙ্গে এই ট্রেন যাত্রার সূচনা হয়েছিল। আর বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।