পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিজেপি সাংসদদের নালিশ

পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা বলতে পশ্চিমবঙ্গের ১৬ জন বিজেপি সাংসদ ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে যান। রাষ্ট্রপতিকে এই সাংসদেরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বা বাংলায় গণতন্ত্র নেই। চলছে অরাজকতা, অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা। একই সঙ্গে চলছে নৈরাজ্য।

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সাংসদ ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে রাষ্ট্রপতির দরবারে যাননি দুই সাংসদ ও মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। এই ১৬ সাংসদকে রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সাংসদেরা পশ্চিমবঙ্গ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির নানা দিক তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন একটি স্মারকলিপি। তাতে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির নানা দিক তুলে ধরেন। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি ও বর্তমান সাংসদ দিলীপ ঘোষও। প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির দরবারে এসব অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গতকালই দিলীপ ঘোষ ভারতের সংসদ লোকসভায় বলেছেন, বাংলায় আজ অরাজকতা, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা চলছে। যার ফলে বাংলার মানুষের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এরপরই তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে যেদিন শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকে নয়, সারা ভারতের মানুষ স্লোগান তুলবে নো তৃণমূল, নো কংগ্রেস, নো সিপিএম।’

দিলীপ ঘোষ সংসদে বলেন, ‘আজ সারা দেশে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি আর দু–একটি রাজনৈতিক দল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়ার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যে তৃণমূল সরকার উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই শুভ প্রয়াসকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিচ্ছেন, তাঁরা কি নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন! দেখেছেন কি এই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এই রাজ্যে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, যখন রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না, গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়, আবার যখন প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় সরকারি সফরে এলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়, গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়, তখন কিন্তু অসাংবিধানিক কিছু মনে হয় না তৃণমূল সরকারের।