ঝড়ের আনুকূল্যে মাত্র ৫ ঘণ্টায় আটলান্টিক পাড়ি

ঘূর্ণিঝড় কিয়ারার আনুকূল্যে রেকর্ড গড়ে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌঁছায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। ছবি: রয়টার্স
ঘূর্ণিঝড় কিয়ারার আনুকূল্যে রেকর্ড গড়ে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌঁছায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। ছবি: রয়টার্স

মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় এখন নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন পৌঁছানো যাবে। এরই মধ্যে এটি করে দেখিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং-৭৪৭ মডেলের উড়োজাহাজ মাত্র ৪ ঘণ্টা ৫৬ মিনিটে নিউইয়র্ক থেকে উড়ে গিয়ে লন্ডনের হিথ্রোতে অবতরণ করে।

না, রাতারাতি ঘণ্টায় প্রায় ২০০ মাইল বেগ বাড়েনি ইঞ্জিনের। ওই দিন ঘূর্ণিঝড় কিয়ারার কারণে বাড়তি গতি পায় উড়োজাহাজটি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রওনা হওয়া ফ্লাইটটি হিথ্রোতে অবতরণ করে ৯ ফেব্রুয়ারি। যুক্তরাজ্যের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় কিয়ারার কারণে উড়োজাহাজের প্রপেলার বাড়তি বেগে ঘুরতে থাকে। এ কারণে এমনকি ঘণ্টায় ৮২৫ মাইল (১৩২৭ কিলোমিটার) বেগেও ছুটেছে উড়োজাহাজটি। মজার বিষয় হলো যে ঘূর্ণিঝড় কিয়ারার কারণে ইউরোপজুড়ে অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, সেই কিয়ারার আনুকূল্যেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং-৭৪৭ আটলান্টিক পাড়ি দিল রেকর্ড সময়ে।

এ বিষয়ে ভূতত্ত্ববিদ ব্র্যান্ডন মিলার বলেন, ‘তুলনামূলক শক্তিশালী বাতাসের মধ্য দিয়ে ফ্লাইটটি চালাতে হয়েছিল। ভাগ্য যে ঘণ্টায় ২০০ মাইলেরও বেশি গতির সেই বাতাসের অনুকূলেই ছিল ফ্লাইটটি। বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে চলাচল করে, সাধারণত তার আশপাশে সব সময়ই এমন জেট স্ট্রিমের উপস্থিতি থাকে। তবে এত শক্তিশালী থাকে না। এবারের ফ্লাইটটি যে জেট স্ট্রিমের মধ্যে পড়ে, তা ছিল খুব শক্তিশালী।’

হিথ্রো বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি নির্ধারিত সময়ের দু ঘণ্টা আগে স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪৩ মিনিটে অবতরণ করে। এর কিছুক্ষণ পরই টুইটার পোস্টে ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোর জানায়, যদি ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে এইমাত্র সম্ভবত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ নিউইয়র্ক-লন্ডন রুটে সবচেয়ে দ্রুতগতির ফ্লাইটের রেকর্ড করল।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বরাবরই গতির রেকর্ড গড়ার চেয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের পাইলটদেরও সেভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।