পালানোর আশঙ্কায় কোয়ারেন্টাইন জোরদার করল যুক্তরাজ্য

ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। নতুন করে আরও চারজন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে, সে জন্য দেশটির সরকার এ ভাইরাসে সংক্রমিত, এমন সন্দেহভাজন লোকজনকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

বিবিসির রাজনৈতিক প্রতিবেদক ইয়ান ওয়াটসন বলেন, চীনের উহান থেকে যুক্তরাজ্যে আসা প্রথম ফ্লাইটের একজন যাত্রী উইরালে বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তিনি ‘গা ঢাকা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন’। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নতুন এ পদক্ষেপ ঘোষণা করে। বর্তমানে যে নিয়ম, তা তাঁকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। তাই নতুন এ নিয়ম জারি করা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাভাইরাসকে জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘গুরুতর ও আসন্ন হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে যুক্তরাজ্যে এ ভাইরাসের কারণে ঝুঁকির পর্যায়টি ‘সহনীয়’ বলে জানিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি, যার অধিকাংশই চীনে। চীনে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কারণে ৯০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রেস হোইটি বলেন, নতুন করে আক্রান্ত চারজন আগের চার রোগীর সংস্পর্শে এসেছিল। তারা ফ্রান্সে থাকার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তাদের লন্ডনে গাইজ অ্যান্ড সেন্ট থমাসের এনএইচএস সেন্টারে এবং রয়েল ফ্রি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উহান থেকে যুক্তরাজ্যে আসা দ্বিতীয় ও শেষ ফ্লাইটে প্রায় ২০০ ব্রিটিশ নাগরিক দেশে ফিরেছে। তাদের মিল্টন কিনস কনফারেন্স সেন্টারে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের এক নাগরিককে গত বৃহস্পতিবার ব্রাইটন থেকে লন্ডনে সেন্ট থমাস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি দেশটির তৃতীয় ব্যক্তি, যাঁর মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে পাঁচ ব্রিটিশ নাগরিক করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর আক্রান্ত হয়।