কাশ্মীর নিয়ে মার্কিন সিনেটরদের উদ্বেগ, পম্পেওকে চিঠি

ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই সিএএবিরোধী আন্দোলন চলছে। ছবি: রয়টার্স
ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই সিএএবিরোধী আন্দোলন চলছে। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই দিনের ভারত সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন শীর্ষ চার মার্কিন সিনেটর। তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ছয় মাসের বেশি ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিরোধমূলক আটকে রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওই চিঠিতে সিনেটররা ভারতজুড়ে বিক্ষোভের কারণ হয়ে ওঠা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গত সপ্তাহে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে আটকে রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাঁরা কবে মুক্তি পাবেন বা পেতে পারেন, সে নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কঠোর আইনটি তিন মাস অবধি এবং একাধিকবার বিনা বিচারে আটকে রাখার অনুমতি দেয়।

দুই ডেমোক্র্যাট ও দুই রিপাবলিকান সিনেটরের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার অধিকাংশ অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখছে। দীর্ঘকাল ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে ভারত ৭০ লাখ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, চিকিৎসাসেবা, ব্যবসা এবং শিক্ষার সুযোগকে ব্যাহত করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে লেখা চিঠিতে সিনেটররা আরও বলেন, প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পাশাপাশি শত শত কাশ্মীরি প্রতিরোধমূলক আটক হয়ে রয়েছেন। এসব কার্যকলাপের পরিণতি গুরুতর হতে পারে।

২৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের সফরে সস্ত্রীক ভারত সফরে আসছেন ট্রাম্প। মোদির রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে বিশাল আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাঁর এ সফর শুরু হবে।

পম্পেওকে যাঁরা ওই চিঠি দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত লিন্ডসে গ্রাহাম রয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র হুমকির মুখে ফেলেছে। এর মধ্যে সিএএও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ওই চিঠিতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে রাজনৈতিক বিবেচনায় কতজনকে আটকে রাখা হয়েছে, তা এক মাসের মধ্যে মার্কিন সরকারকে খতিয়ে দেখার দাবি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগে বাধা দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তা ছাড়া স্বাধীন পর্যবেক্ষক, কূটনীতিক ও বিদেশি সাংবাদিকদের সেখানে যেতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এনআরসির ফলে কতজন রাজ্যহারা হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি করা হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি দেশে সিএএবিরোধী বিক্ষোভের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন উভয় ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।